চটগ্রাম জেলার দ্বীপ সন্দ্বীপ উপজেলা পৌরসভা” ৮ নং ওর্য়াড আবাসিক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান ফয়সাল এর ( ১০ শতশ) এর বেশি জমি অবৈধভাবে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্দ্বীপ পৌরসভার আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ এর কথিত আহ্বায়ক আল-আমিন ( তালিম) এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান ফয়সাল জানান, আমার এই জমি আমি ভোগ দখলে থাকিয়া, ২২/ ০৩/২০১৭ সালে মোহাম্মদ জামসেদ এর নিকট বিক্রি করিয়া তাকে ভোগ দখল বুঝিয়া দিলে তখন প্রতিপক্ষ আল-আমিন ( তালিম) তাদের নিজেদের নামে এই জমির কাগজপত্র আছে বলে দাবী করে, জোরপূর্বক জমি দখল নিতে চাইলে,আমরা সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর আদালতে আইনের আশ্রয় নিয় যার মামলা নং- ০২/১৬-১৭ এর মামালার রায় আমাদের পক্ষে আসে।
এরপর তারা সন্দ্বীপ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, এর পুনোরায় মামাল আপিল করে যার মামলা নং ০২নং অপর/ ২০১৭ ইং, এই মামালা চলাকালীন সময়ে ভিবিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে অবৈধদখলের চেষ্টা করে।
এবং আমার অনপুস্থিতে প্রকাশ্র দিবালকে আমার জায়গার উপর থাকা ইট, কঙ্কর ইট, পিলার গাড়ি বোঝায় করে পুকুরে ফেলে দেয়।
আমি বাঁধা দিলে তারা আমাদের বিভিন্ন সময় মামলা,হামলা,হত্যা,জোর পূর্বক দখল করার হুমকী দিয়ে আসছে।
তাই আমি ও আমার পরিবারের আর্তরক্ষার্তে সন্দ্বীপ থানায় একটি ফৌজদারী মামালা দায়ের করি। মিছ মামলা নং-৪৩/২০২১ ইং, ধারা- ফৌজদারী কঃবিঃ ১৪৪, তারিখ- ২১/৩/ ২০২১ খ্রিঃ।
ভূক্তভোগী ও গ্রামবাসী জানায়, হারামিয়া মৌজা নং ৬৫, আর,এস খতিয়ানের দাগ নং ৩৭ এর ১০ শতক জমি নিয়ে আসাদুজ্জামান ফয়সাল গংয়ের সাথে প্রতিপক্ষ মৃত মজিবুল মাওলা ও তার ছেলে আল-আমিন ( তালিম) গংদের অনেক দিন আগে থেকে বিরোধ চলে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরে আসাদুজ্জামান ফয়সাল জমি ভোগদখল করে আসলে ও হঠাৎ করে আল-আমিন। ( তালিম ) জোরপূর্বক জমির মালিক বলে দাবী করে।
এবং এ নিয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ।কিন্তুু মামলা চলাকালিন আইনের বাধা না মেনে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তারা রাতের আঁধারে খুটি বিহীন তাঁর কাঁটার ঘিরা দেওয়া ও জোর পূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা করে।
সরেজমিনে গেলে,জমির পূ্র্ব পাসের বাসিন্দারা বলেন,দলিল সূত্রে উক্ত জমির মালিক আসাদুজ্জামান ফয়সাল।
এবং পাশের বাসিন্দা মুজিবুল হক ( জুয়েল ) জানান, ১৫/১০ /২০২১ তারিখ আনুমানিক সকাল ৭ টা নাগাত উক্ত জমিতে অভিযুক্ত আল-আমিন ( তালিম), আকবর হোসেন,ও সন্দ্বীপ পৌরসভার ৭,৮,৯ নং ওর্য়াডের মহিলা কাউন্সিলর রাহেনা বেগম, সহ আরো লোকজন নিয়ে জমি দখল এর চেষ্টা করেন।
অভিযুক্ত আল-আমিন ( তালিম ) কে ফোন করলে ফোন রিসিভ না করাতে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি,
সন্দ্বীপ থানায় অভিযোগ এর সূত্রে ঘটনার ( তর্দন্ত) কর্মকর্তা এ,এস, আই মোসারফ হোসেন কে ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম। জমিতে কাজ না করার জন্য দুই পক্ষকে বলে এসেছি । আদালত থেকে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত জমিতে কেউ যেতে পারবে না।