১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| রাত ৪:১১| গ্রীষ্মকাল|

সাদুল্লাপুরে ৩২০ বস্তা চিনি ছিনতাই নাটকে চালক-হেলপার কারাগারে

মোঃ আম আমিন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, নভেম্বর ২৯, ২০২১,
  • 114 Time View

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মহাসড়কের ধাপেরহাটের একবার নামকস্থানে ট্রাক থামিয়ে ৩২০ বস্তা চিনি ছিনতাই হয়েছে মর্মে নাটক সাজায় চালক ও হেলাপার। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে চিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগ করতে এসে অবশেষে সেই চালক ও হেলপারকে যেতে হল কারাগারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়। কারাগারে যাওয়া ট্রাক চালক নাজমুল হক ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার আব্দুল খালেকের ছেলে ও হেলপার ইব্রাহিম মিয়া শেরপুরের শ্রীবদি থানার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, শনিবার (২০ নভেম্বর) নরসিংদী থেকে ৩২০ বস্তা চিনি চন্দ্রপুরী ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ট্রাকযোগে (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-২০-০৪৪৭) ঠাকুরগাঁওয়ের জাকারিয়া ট্রেডার্সে পাঠানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয় ওই চালক ও হেলপার। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে চিনি গন্তব্যে না পৌঁছালে ট্রাক চালক নাজমুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন জাকারিয়া ট্রেডার্সের মালিক হোসাইন জাকারিয়া। তখন চালক তাকে জানান, টাঙ্গাইলে ট্রাক বিকল হয়ে পড়েছে, মেরামত করে রওনা দেবেন। এজন্য তিনি জাকারিয়ার নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা নেন। টাকা দেওয়ার পরেও পাঠানো চিনি না পৌঁছায় আবারো যোগাযোগ করা হলে চালকের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ট্রাকচালক নাজমুল হক সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে জানায়, তার ট্রাক আটক করে ৩২০ বস্তা চিনি ছিনতাই করা হয়েছে। চালকের কথায় সন্দেহ হলে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এক পর্যায়ে চিনিগুলো রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সদর বাজারে একটি গুদামে রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেন নাজমুল হক। এসময় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জিডি মুলে মঙ্গলবার রাতেই মিঠাপুকুর বাজারের শ্রমিক লীগ নেতা মমিনুল ইসলামের গুদামে চিনিগুলো আছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

পরে বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ও মিঠাপকুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই গুদামঘর থেকে ১৭৯ বস্তা চিনি উদ্ধার করেন।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জাগো২৪.নেট-কে জানান, চিনি উদ্ধারের ঘটনায় চিনির মালিক হোসাইন জাকারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বাকি চিনি উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন শ্রমিকলীগ নেতা মমিনুল ইসলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category