মোঃ আল আমিন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেছেন ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজ।
সংবাদ সম্মেলনে জি এম সেলিম পারভেজ নানা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, এবার ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু গতকাল রাত ১০টার দিকে ফুলছড়ি-সাঘাটা আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন তার বাসায় প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ডেকে টাকা এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে তার মনোনিত প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতিকের আবু সাইদকে বিজয়ী করার নির্দেশ দেন। খবর পেয়ে গভীর রাতেই রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি অবগত করি। তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য। ভোট দিতে আসতেই পারেন। তাই বলে সবাইকে ডেকে তার মনোনিত প্রার্থীকে বিজয়ী করার নির্দেশ দিতে পারেন না। তিনি মূলত, রাতেই ভোটকে কুলষিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকাল থেকে ভোট সুষ্ঠু ভাবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু সকাল ৯টার পর উপজেলার এড়েন্ডাবারি কেন্দ্র থেকে প্রথমে খবর আসে জোর করে ভোট দেওয়া হচ্ছে। এরপর খবর আসে, ৩৪ নম্বর কেন্দ্র থেকে ৬০ নম্বর কেন্দ্রে জোর করে ভোট দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার ফোন করা হলেও, তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। ভোট কারচুপির অভিযোগে, আমি ভোট বর্জন করলাম।
ফুলছড়ি উপজেলায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ৬২ হাজার ৯৭১ জন ও নারী ৬৩ হাজার ৬৯ জন। ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্বিতা করছেন। এ উপজেলায় বিদ্যুৎবিহীন ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭টি এবং ৪৬টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।
ফুলছড়িতে ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘এসব অভিযোগ সত্যি নয়। গতকাল রাত ১০ টায় প্রিসাইডিং অফিসারদেরকে সংসদ সদস্যর বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, এ কথাও সত্য নয়। তখন তারা কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিল। আজ সকালে তিনি যেসব কেন্দ্র নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন, সাথে সাথেই সেসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন’।