তৌসিফ রেজা,বিশেষ প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশুদের হাতে ঈদের নতুন জামা আর ঈদের সেলামী তুলে দিয়েছে সৈয়দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে শহরের গোলাহাট রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া মাদরাসা মাঠে শতাধিক ওই ছিন্নমূল অসহায় শিশুদের হাতে নতুন পোশাক ও ঈদ সালামী উপহার দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।
নতুন টাকা আর ঈদের নতুন জামা পেয়ে উচ্ছাসিত অসহায় শিশু সোহাগী (১০)। সে জানায়, তার বাবা নেই। মা অন্যের বাসায় কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনমতে চলে। ঈদে নতুন পোশাক ও পরবির টাকা পেয়ে সে খুবই আনন্দিত। ৯ বছরের সিরাজ। দু বছর আগে বাবা মারা গেছে। দিন মজুর মায়ের পক্ষে ঈদের নতুন জামা নেওয়াতেও ছিল শংকা। অনেকদিন ধরে তার নতুন কোনো জামা নেই। এবার নতুন জামা ও সেলামী পেয়ে আনন্দের শেষ ছিলো না তাঁর। এখন ঈদ তাদের ভালই কাটবে বলে জানায় তারা।
–
সোহাগী, সিরাজের মত এভাবে এতিম, অসহায় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ঈদের নতুন জামা আর ঈদের সেলামী উপহার দিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি।
বিতরণ কালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এমআর আলম ঝন্টু, রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, সংগঠনের ওয়াকার আনসারী, এসরার আনসারী, নওশাদ আনসারী, সামিউল আলিম, আরিফুল ইসলাম, অনলী রাজা, জয়, আয়ান, সামির, মোস্তফা, সেরু, মুনতাহা প্রমুখ।
–
সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ওয়াকার আনসারী বলেন, প্রতিবছর এরকম সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের ঈদের নতুন জামা ও সালামীর ব্যবস্থা করে থাকি আমরা। এবারও ঈদে ৩ পর্যায়ে আমরা সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও নারী পুরুষদের ঈদের নতুন জামার উপহার দিচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের নতুন জামা ও ঈদ সালামী দিচ্ছি এবং এরপর নারী-পুরষদের শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস পাঞ্জাবি দেওয়া হবে। এবং চান্দ রাতে দুস্থ পরিবারগুলোর মাঝে সেমাই চিনি দুধ বিতরণ করা হবে। বড় আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও আমাদের সংগঠনের সদস্যরা এসব এতিম, ছিন্নমূল শিশু ও মানুষের মাঝে নতুন পোশাক পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের এই ধারাবাহিকতা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত থাকবে। উপহার হিসেবে সামান্য হলেও শিশুদের মুখের হাসি আর ওদের প্রাপ্তির আনন্দই আমাদের স্বার্থকতা বলে জানান সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
–
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে আসছে সংগঠনটি। বছর বছর বাড়ছে এর পরিধি। সদস্য আর সুহৃদদের নিজস্ব তহবিল থেকেই তারা ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে কাজ করে আসছে।