মোঃ আল আমিন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
০২/০১/২০২৪ ইং শুক্রবার বেলা ১২ ঘটিকার সময় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব এর মিডিয়া বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
বশির তিনি জানান গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সাথে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিটিতে হযরত আলী আমন ধান চাষ করে।
আদালতে মামলার রায় পেয়ে ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার বিষয়টি হযরত আলী আগে জানতে পেরে জমির পাশ্ববর্তী তার রাইচ মিল থেকে বিদ্যুৎতের তার পেতে সম্পূর্ণ জমি ঘিরে রাখে। ঐই দিন সকালে আব্দুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন নারী পুরুষ শ্রমিক নিয়ে জমিটিতে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বিদ্যুতের তারের সাথে জড়িয়ে যায় পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার চাচাতো বোন
মর্জিনা খাতুন ও বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত তসলিম উদ্দিনের বাবা মফিজল হক বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এই নৃশংস হত্যাকান্ড প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৩ জন আসামিকে মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করে।
রায় ঘোষণার পর থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মৃত আবুল হোসেনের ছেলে হাফিজার রহমান (৩৯) পলাতক ছিল। ৬ বছর পলাতক থাকার পর পরবর্তীতে আসামি আত্মগোপন থাকা অবস্থায় র্যাব-১৩ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ইছাপুর বরশা বাজার এলাকা হতে গত বৃহস্পতিবার রাত্রী ১১ ঘটিকার সময় তাকে গ্রেফতার করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অধিনায়ক, র্যাব-১৩, রংপুর।