৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি| সকাল ১০:০৫| গ্রীষ্মকাল|
Title :
নানা আয়োজনে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে হয়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু খাগড়াছড়িতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন ও আসামী গ্রেফতার পাক-পাঞ্জাতন স্মরণে উত্তরখানে পবিত্র ওরশ মোবারক আগামী ২৩শে মে গাইবান্ধায় আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই উজিরপুরে নোটিশ ছাড়া দোকানপাট ঘরবাড়ি উচ্ছেদ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। মিঠাপানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর নিত্যপণ্যের লাগামহীন বাজারের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা ক্রেতারা কি ছিলাম কি পেলাম অভিনব কায়দায় গ্যাস সিলিন্ডারে ৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১ মাদককারবারি

বাল্যবিবাহ ঠেকানো সেই নুসরাতকে সংবর্ধনা দিল প্রশাসন

মোঃ সোলায়মান হাওলাদার ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
  • Update Time : বুধবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২১,
  • 70 Time View

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকানো কিশোরী নুসরাত জাহানকে (১৪) ‘সাহসিকা’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা পিরোজপুর সদরের ইউএনও বশির আহমেদ ক্রেস্ট ও নগদ ১০ হাজার টাকা নুসরাত জাহানের হাতে তুলে দেন।

এরপর ইউএনওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল, মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. বাচ্চু মিয়া ও নুসরাত জাহান।

নুসরাত বলে, ‘আমি পড়াশোনা শেষ করে আত্মনির্ভর হতে চাই। এ কারণে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে থানায় গিয়েছিলাম। থানায় গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার পর স্থানীয় কিছু মানুষ আমাকে নিয়ে নানা কটু কথা বলেছে।

কেউ কেউ গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন আমার পাশে দাঁড়ানোর কারণে আমাকে গ্রাম ছাড়তে হয়নি। আমার সামনে এসে কেউ কটূক্তি করার সাহস পায়নি। প্রশাসনের সহযোগিতা ও ভূমিকায় আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। পড়াশোনা করার সাহস পেয়েছি।’ ইউএনও বশির আহমেদ বলেন,

নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকাতে নুসরাত যে সাহসের পরিচয় দিয়েছে, সে জন্য প্রশাসন তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে। তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে। এ ছাড়া নুসরাতের মা রোকসানা বেগমকে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আয় বর্ধন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তাঁকে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সেলাই মেশিন দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ওহেদাবাদ গ্রামের ভ্যানচালক আবদুর রহমানের মেয়ে নুসরাত স্থানীয় নূরুন-আলা নূর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার তার বিয়ে ঠিক করলে সে বিয়ে ভেঙে দিতে বলে। কিন্তু তার পরিবার এতে রাজি হয়নি।

এ অবস্থায় ১৩ ডিসেম্বর রাতে নুসরাত নিজের বিয়ে বন্ধ করার জন্য স্থানীয় থানায় গিয়ে হাজির হয়। থানার ওসি সব কথা শুনে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে খবর দেন এবং মেয়েটির মা–বাবাকে থানায় ডেকে পাঠান। পরে নুসরাতের মা থানায় গিয়ে মেয়েকে বাল্যবিবাহ না দেওয়ার জন্য মুচলেকা দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category