নেত্রকোনায় উটপাখি ও ময়ূরসহ বিভিন্ন জাতের পাখির বাচ্চা জব্দ করা হয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জব্দকৃত পাখির বাচ্চার মধ্যে রয়েছে ৪৬টি উটপাখি, ৫টি ময়ূর, ১৫টি লাভ বার্ড, ৩০টি বাজ রিগার ও ৩টি ককটেল। এ কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টায় পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আল আমিন হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডিবির ওসি মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ফোর্সসহ সদর উপজেলার বালুয়াকান্দা গ্রামের অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
আটকেরা হলেন, নেত্রকোনা সদরে বালুকান্দা গ্রামের আহমেদুল্লাহ সাকিব (৩২), কুমিল্লা সদর উপজেলার মাঝিগাছা গ্রামের ইব্রাহীম রানা (৩২) ও জামালপুর বকশীঞ্জের কুশলনগর গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম (৩৮)।
অভিযানে যুক্ত থাকা নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আল আমিন হোসাইন জানান, আহমেদুল্লাহ সাকিবের ভাড়াটিয়া খামারে রাখা একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারের ভেতর কাগজের কার্টুনে ৬টি উটপাখির বাচ্চা পাওয়া যায়। পরে তার খামারে অভিযান পরিচালনা করে আরও উটপাখির বাচ্চাসহ ময়ূর, লাভ বার্ড, বাজ রিগার ও ককটেল এ সকল পাখির বাচ্চাও জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে বন্য পাখি পালন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে আটকেরা তা দেখাতে পারেনি।
আটকেরা পরস্পরের সহযোগিতায় লাইসেন্স ব্যতীত অবৈধভাবে বন্য পাখির বাচ্চা পালন ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জব্দকৃত পাখিগুলো বর্তমানে পুলিশ প্রহরায় ওই খামারেই রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পাখিগুলোর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।