জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৯০ সালের ১৪ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ সভার সিদ্ধান্তক্রমে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর ১অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হচ্ছে।পরবর্তীতে জাতিসংঘ ১৯৯৯সালকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক প্রবীণ বর্ষ।১৯৮২ সালে জাতিসংঘের ও সমর্থিত প্রবীণ সংক্রান্ত ভিয়েনা আন্তর্জাতিক কর্ম পরিকল্পনা অনুসরণে এই দিবস ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাপী প্রবীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি সচেতনতা সহ তাদের মানবিক ও সম্মানজনক অধিকার সংবরণই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র দিবসটি পালিত হয়।
প্রবীণত্ব মানব জীবনের শেষ অধ্যায়।প্রবীণরা স্বভাবতঃই অন্যান্যদের মতো মানবিক ও মৌলিক অধিকার প্রাপ্য।বরং শ্বাশত ভাবে অন্যান্যদের চেয়ে বেশি মর্যাদা ও সুযোগ -সুবিধা প্রাপ্তির দাবিদার।তারা পুরোটা জীবন ধরে ও কর্মময় তৎপরতা দিয়ে নিজ নিজ পরিবার গঠনে ও উন্নয়নে এবং সমাজ ও জাতির সার্বিক অগ্রগতি প্রক্রিয়ায় স্ব-স্ব পেশায় অক্লান্ত ভাবে কাজ করেন।জাতীয় জীবনেও রাখেন তারা নানামুখি অবদান। কিন্তু দুঃখের বিষয় জীবনের শেষ দিনগুলোতে তারা হয়ে পড়েনঅসহায়,গুরুত্বহীন, সমাজ ও সংসারের বোঝা, অবহেলার পাত্র। মুখোমুখি হন নানাবিধ আর্থ-সামাজিক স্বাস্থ্যগত ও মানসিক সমস্যার।নিদারুণভাবে বঞ্চিত হন তারা তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকে।বিষময় হয়ে উঠে প্রবীণের জীবনের শেষ পর্ব।এই অবস্হা রীতিমতো অবিচার। এ থেকে উত্তরণ প্রয়োজন। প্রয়োজন মানব জীবনের শেষ অধ্যায়কে সফল, সার্থক ও স্বাচ্ছন্দ্য করা।নতুবা প্রবীণরা তাদের জীবনের শেষ অধ্যায়কে অভিশপ্ত মনে করে বিদায় নেবে এই পৃথিবী থেকে।এটা তার উত্তরসূরী সমাজের ওপর ফেলবে অভিশাপের ছায়া।