: মফস্বল পর্যায়ে সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় যশোরের মণিরামপুরে কর্মরত তিন গণমাধ্যমকর্মীকে সেরা নির্বাচিত করে সম্মাননা দিয়েছে পরিবার ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (এফএসডিও) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সংস্থাটির ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সদস্যদের মিলন মেলা উপলক্ষে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের এ সম্মাননা দেয়া হয়।
মণিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
সম্মাননা পাওয়া তিন গণমাধ্যমকর্মী হলেন, দৈনিক সমকালের মণিরামপুর প্রতিনিধি মজনুর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন ও দৈনিক আজকের পত্রিকা ও স্বাধীন আলোর মণিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন।
এদিকে এফএসডিওর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে মণিরামপুরে কর্মরত ছয় গণমাধ্যমকর্মীকে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি।
এফএসডিওর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেব বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মফিজুর রহমান।
এফএসডিওর সভাপতি দেব বিশ্বাস বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মণিরামপুরের গণমাধ্যমকর্মীরাও সমাজের অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরার পাশাপাশি অবহেলিত অসহায় মানুষের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। তাদের লেখনির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন অবহেলিত ছিন্নমূল এসব মানুষ।
তিনি বলেন, মণিরামপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে যারা বিশেষভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনজনকে এ বছর সেরা নির্বাচিত করে আমরা সম্মাননা জানাচ্ছি।
দেব বিশ্বাস আরো বলেন, প্রতি বছর এফএসডিওর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা এভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে সেরাদের খুঁজে বের করে সম্মানীত করতে চায়।
আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সহকারী সম্পাদক অ্যাডভোকেট বসির আহম্মেদ খান, মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ লিটন প্রমুখ এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য কাজ করার উদ্দেশ নিয়ে ২০১৭ সালে এফএসডিও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে রক্তদান, করোনাকালীন দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণসহ নানা সেবামূলক কাজ করছে সংগঠনটি। সারা দেশের ২৪টি জেলায় এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী যুক্ত রয়েছেন সংগঠনটির সাথে। এ পর্যন্ত তারা আট হাজারের বেশি মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়েছেন।