৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| সন্ধ্যা ৬:০৩| শরৎকাল|
Title :
চুনারুঘাট অনলাইন প্রেস ক্লাবের অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ৩৭৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এক জন আটক গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানা পুলিশের হাতে ৯ জন আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার পূর্বধলায় শ্রেষ্ঠ ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স সদ্য যোগদানকৃত নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, নাগরপুর উপজেলা শাখার শুভেচ্ছা নারী সাংবাদিক নিহত: প্রধান অভিযুক্ত গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার পূর্বধলায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ ও বিকাশের যৌথ উদ্দ্যোগে মোবাইল ও বিকাশ প্রতারণা বিষয়ে তদন্ত ও প্রতিরোধ পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ ফকির বাড়ির পারিবারিক কবর থেকে ৪ টি লাশ চুরি

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল হক নিরাপত্তা চেয়ে সোনারগাঁ থিনায় জিডি

মোঃদেলোয়ার (সোনারগা প্রতিনিধি )
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১,
  • 103 Time View

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে চেয়ারম্যানের ভাই ওবায়দুল হক ও তার ছেলে হাফিজুল হক দোলনকে বারদী বাজারে একা পেয়ে লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারধর করতে উধ্যত হয়। এসময় তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিকেলে চেয়ারম্যান জহিরুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক উল্লেখ করেন, উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দু’দফায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্র্বাচনে তিনি মনোনয় পাননি। কিন্তু নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে কোন প্রার্র্থীর পক্ষেও ছিলেন না। নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এর মধ্যে নাজমুল হক নির্বাচিত হন। পরাজিত হয়ে ইব্রাহিম খলিল ইবু ও জাকির হোসেন নির্বাচনের দিন রাতে একত্রিত হয়ে তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ইব্রাহিম খলিল ও জাকির হোসেন পরাজিত হয়ে জহিরুল হক চেয়ারম্যানকে দোষারোপ করে বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যানের ভাই তাইজুল ইসলাম, ভাতিজা সাকিব, তানজিল, ভাইয়ের স্ত্রী বিলকিস, মুন্না, আমেনা বেগম আহত হন। আহতদের ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এছাড়াও নির্বাচনে পর্যবেক্ষনে থাকা সাংবাদিকদের গাড়িসহ প্রায় ২০-২৫টি গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর তৃতীয় ধাপে এ ইউনিয়নের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল মিমাংসা করে দেন।

এ ঘটনায় প্রায় এক মাস পর গতকাল বুধবার সকালে চেয়ারম্যানের ভাই ওবায়দুল হক ও তার ছেলে হাফিজুল হক দোলন বারদী বাজারে গেলে একা পেয়ে ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে সৈকত রাসেল, মানিকসহ ১০-১২ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারধর করতে উধ্যত হয়। এসময় তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিকেলে চেয়ারম্যান জহিরুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, আমি এখনো এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। আমার ও আমার জিবনের নিরাপত্তা নেই। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়ি পর্যন্ত আমার পরিবারের সদস্যদের ধাওয়া করে নিয়ে যায়। জিবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোনারগাঁ থানায় আমি সাধারণ ডায়েরী করেছি।

অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিল বলেন, জহির চেয়ারম্যান তার প্রভাবে ভাতিজাকে নির্বাচিত করেছেন। তবে হুমকির বিষয়ে কোন কথা বলেননি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান জহিরুল হক নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category