ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলা ৪ নং বলুহর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বিদ্যাধরপুর মোঃ আলম উদ্দীন,অর্থাভাবে বসতঘর তৈরী করতে না পারায় স্ত্রী ও ৩/৪ জন সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকায়।(২৮ ডিসেম্বর ) মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের মোঃ সোনা মন্ডলের পুত্র আলম উদ্দীন পৈত্রিক সম্পত্তি মাত্রই আড়াই শতক জমি আছে বলে তিনি জানান,সেখানে আছে কোনো রকমে একটি মাটির ঘর
অর্থাভাবে বসতঘর তৈরী করতে না পারায় স্ত্রী ও ৩/৪ জন সন্তানকে নিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছেন।স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞাসা করলে স্থানীয়রা জানান,আসলেই আমাদের এই ৬ নং ওয়ার্ড বিদ্যাধরপুরে আলমের মতো অসহায় ব্যক্তি আর কেউ নেই।কোনরকম মাটির ঘর এই ঘরেই স্ত্রী ও ৩/৪ জন বাচ্চা নিয়েই থাকেন।স্থানীয় জনতার দাবি প্রধানমন্ত্রী জনো নেত্রী বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার কাছে এতো মানুষের ঘর দিচ্ছেন,আমরা তো সবই দেখছি কিন্তু এই হতভাগা আলমের কি একটা মাথা গোজার ঠাই হবে না।আলমের বড় ভাই আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে বর্তমান ঝিনাইদহ টিভিকে বলেন,৮ বছর বয়সের সময় মা মারা যান,তখন আমরা ২ ভাই এক বোন।ছোট অবস্থায় মারা যান মা,আমার বাবা আমাদের ফেলে দ্বিতীয় বিবাহ করেন,পারলাট গ্রামে তিনি সেখানেই থাকেন।মাত্র সমান্য জমি আছে ৫ শতক সেখানেই একটি ঘরে সুখে দুঃখে বড় হয়েছি। খুব কষ্ট করে বোনের বিবাহ দিয়েছি সে শ্বশুর বাড়িতে আছেন,আমি এখন মাথা গোজার ঠাই করতে পেরেছি,কিন্তু ছোট ভাই আলমের পুঁজি না থাকায় আমি একটি এনজিও থেকে কিছু টাকা নিয়ে একটি অটো ভ্যান কিনে দিয়েছি।ভ্যান চালিয়ে কষ্ট ও পরিশ্রমে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সন্তানের পড়ালেখা চালিয়ে নিজেদের দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করে থাকেন আলম,কিন্তু বাবার পৈত্রিক ভিটায় বসবাসের উপযোগী ঘর না থাকায় স্ত্রী ও ৩/৪ জন সন্তানকে নিয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।আলমের স্ত্রী বলেন,আমার শ্বশুরের ভিটায় মাত্র আড়াই শতক জমি পেয়েছি,আছে শুধু একটা মাটির ঘর।রোদ,বৃষ্টি,বাতাস সবই মাথার উপর দিয়ে চলে যায়,৩/৪ জন সন্তানকে নিয়ে এতো কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তা ভাষায় বুঝাতে পারবো না।যদি সরকারীভাবে একটি ঘর পাওয়া যেতো,তাহলে আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই হতো। ৪ নং বলুহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মতিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আলমের আড়াই শতক জমি থাকলেও সেখানে আছে একটি মাটির ঘর।অর্থাভাবে তুলতে পারছে না ঘরও।অমানবিকভাবে তাদেরকে এখন মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।আমি কথা দিলাম,সরকারী বরাদ্দে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি ঘর আলমকে দেয়া হবে,তাহলে তার দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে,এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি একটি ঘরের জন্য।