ভূমিহীন হওয়ায় চাকরি নিয়ে জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে বেতাগীর সেই সজল পুলিশে ট্রেনিংয়ের যোগাদানপত্রের নোটিশ হাতে পেয়েছেন। এতে সজরের পরিবারে খুশির বন্যা বইছে।
এমন খুশির সংবাদে সজলের পরিবার বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোর্টা ও প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,’ নানা জটিলতার পরও চাকরি হওয়ায় তারা খুশি। তাদের পরিবারটি এখন স্বচ্ছল হবে। সজলের জীবনেও একটি গতি আসবে।
সজল কর্মকার অন্তর বলেন, স্থায়ী কোন জমি না থাকার জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে চাকরিটা পাচ্ছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ হেডকোর্টার ও সংবাদকর্মিদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
সজলের বাবা অমল কর্মকার বলেন, আমি এখানে ২৫ বসরের বেশি সময় পড়িবার নিয়ে বসবাস করছি। আমার নিজের জমি না থাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন ভাই আমার নামে বিনা সার্থে ৩ শতাংশ রেজিস্ট্রি করে দেন। ছেলের চাকরি হওয়ায় আমি আজীবন প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবো ও বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোর্টারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সজল আমার মৃত সন্তান খাইরুল ইসলাম মুমিত এর সাথে পরা-লেখা করতো।আমার সন্তানের কথা ভেবে আমি বিনা সার্থে সজলের বাবার নামে ৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি কওে দেই।
বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ হেডকোর্টার জানিয়েছেন সজলের চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদন করে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামে বসবাসরত সজল চন্দ্র কর্মকার অন্তর মেধা, শারীরিক যোগ্যতা যাচাইসহ সাতটি ধাপ পেরিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থান লাব করেন। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশনে স্থায়ী কোন ভূমি না থাকায় চাকরি হওয়ার অনিশ্চয়তায় পরে সজল। বিষয়টি নিয়ে ভিবিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চাকরি নামের সোনার হরিণের দেখা পায় সজল।