নড়াইল সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের ৭ নং পেড়লী গ্রামের ছাত্র ও যুব সম্প্রদায় মাদক ছেড়ে খেলার মাঠে ফিরে যেতে চাই।কিন্তু সে পথেও তাদের বাধা।কারন গ্রামে নাই কোন খেলার মাঠ।অথছ ১০০% শিক্ষিত এ গ্রামের মানুষ।
খেলাধুলায় এক সময় এ গ্রামের সুনাম নড়াইল জেলা ছাড়িয়ে সারাদেশে প্রায় ছড়িয়ে পড়েছিল।
হাডুডু,কাবাডি,কুস্তি,ফুটবল,ভলিবল ক্রিকেট সহ সকল খেলায় এ গ্রামের খেলোয়াড় রা পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছেন।কুস্তুিগির আঃসালাম মোল্যা,মুনছুর মোল্যা যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন কুস্তি খেলায়।সৈয়দ মোনায়েম আলী,মহসীন আলী,মেজর মোজফ্ফর আলী,মোয়াজ্জেম আলী, মোকাররম আলী,মোকসেদ আলী,মোর্তজা আলী,আতিয়ার রহমান,লিয়াকত হোসেন,জাহিদ হোসেন, কালাম হোসেন, সাবেক সচিব কোবাদ হোসেন,নাজির হোসেন, আনোয়ার হোসেন,ওমর আলী,আবুল কাশেম,মোশাররফ হোসেন,হাদিউজ্জামান সহ অনেক খ্যাতিমান খেলোয়াড় ছিলেন এ পেড়লী গ্রামে। ছোট হলে ও গ্রামে স্কুল মাঠ বলে খেলার মত জায়গা ও ছিল।
কিন্তু এখন সেই স্কুল মাঠে বিদ্যালয়ের নতুন নতুন ভবন তৈরি হওয়াতে মাঠ নেই বললেই চলে।যেটুকু আছে তার মধ্যে উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তুলারামপুর – মাইজপাড়া সড়ক।ভিতরে যে টুকু মাঠ পরিলক্ষিত আছে সেখানে ভলিবল খেলার মত যায়গার ও অভাব।
নতুন প্রজন্মের ছাত্র ও যুবকেরা খেলার সময় ব্যয় করছে মাদক ও মোবাইলের পেছনে।হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামের পুরোনো ঐতিহ্য।
এগ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ি প্রোকৌশলি কালাম হোসেন উদ্যোগ নিয়েছিলেন নিজ খরচে একটি স্টেডিয়াম করার। কিন্তু কিছু কুচক্রি, দুষ্টু লোকের ষড়যন্ত্রে তিনি স্টেডিয়াম তৈরিতে সফল হতে পারেন নি।এ গ্রামের আরেক কৃতিসন্তান চিত্রনায়িকা শাহনুর গড়তে চেয়েছিলেন স্পোর্টিং ক্লাব।নেই খেলার মাঠ ক্লাব দিয়ে কি হবে।তাই তিনি ও সফল হতে পারেন নি।
বর্তমান প্রজন্ম খেলাধুলা নামটি ভুলে যেতে বসেছে। যে সময়টা খেলার কথা সে সময় পার করছে আড্ডা,মোবাইল আর মাদকে আসক্তিতে। ব্যাপার টা নিয়ে উৎকন্ঠার মধ্যে আছে তরুন প্রজন্মের অভিভাবক গন ও।
তেমন কিছু ছাত্র ও যুবকের সাথে কথা হয় এ প্রতিনিধির। সদ্য নির্বাচিত ওয়ার্ড মেম্বর ইবাদুল ইসলাম ইবাদ বলেন,আমি নিজেও খেলার পাগল।কিন্তু আমাদের আশে পাশে ৪/৫ গ্রামে কোন খেলার মাঠ না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো।অচিরেই আমাদের একটি মাঠের প্রয়োজন।
শাহিল হোসেন নামের তরুন ক্রিকেটার এ গ্রামের সন্তান।সে ঢাকায় প্রিমিয়ারলীগ খেলার কারনে তাকে ফোনে ও পাওয়া যাইনি।বাধনের নেতৃত্বে একটি দল অনুশিলন ছাড়াই খেলা করে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।কুড়িয়ে আনছে গ্রামের সুনাম।বাধনের সাথে কথা বলে জানা যায়,খেলাধুলা করতে না পেরে বেশির ভাগ কিশোর, তরুন, যুবক মোবাইল আর মাদকে জড়িয়ে পড়েছে।বাধন বলেন, আমরা সকলে মাদক ছেড়ে খেলার মাঠে ফিরতে চাই।তার জন্য আমাদের একটি মাঠের প্রয়োজন।