নড়াইল জেলার কুখ্যাত রাজাকার কোবাদ হোসেন,প্রতারনার খল নায়ক,কুখ্যাত রাজাকার পুত্র এস এম আনিসুল ইসলাম।রাজাকার ও দালাল অভিযোগে গ্রেফতার হয় এই কোবদ হোসেন,১৯৭১ সালের বৃহত্তর খুলনা সংকলন ও সম্পদনা বইয়ের কে,এস,সামছুল আরোফিল রচিত ২০৭ পৃষ্ঠায় ১২৬ নং তালিকায় এই কোবাদ হোসেন নাম সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭১ সালের মানবতার বিরোধী কাজের সাথে পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ ও রয়েছে। রাজাকার ও দালাল আইনে ৯/১২/১৯৭১ সালে এই কোবাদ হোসেনকে আটক করা হয়,এসব তথ্য অনুসন্ধানে তার রাজাকার চরিত্র আইনার মত পরিষ্কার হয়ে যায়। সব চেয়ে মজার বিষয় এই কুখ্যাত রাজাকার কোবাদ হোসেনের পুত্র এস, এম আনিসুল ইসলাম বর্তমান বিছালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। এহেন পরিবারের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় ঘৃনায় পরিষদ কার্যালয়ে যান না অনেক সচেতন মহলের লোক ও মুক্তীযোদ্ধাগণ।খোজ খবর নিয়ে যানা যায়,এই আনিসুল নড়াইল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সহজ সরল মানুষকে প্রতারীত করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।নিজেকে আইজি,ডি আইজি,সেনা প্রধনের আত্মীয় পরিচয় দেন। চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।এ সব অফুরন্ত অভিযোগের প্রমান সাংবাদিক দের হাতে এসে পৌঁছেছে।যানা গেছে,এই সব অবৈধ টাকায় বলিয়ান হয়ে সপ্ন দেখেন চেয়ারম্যান হওয়ার,এজন্য শুন্য এই নেতা ১৮ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক নেতাকে নগত নারায়ণে তুষ্ট করে নিয়ে আসেন নৌকা প্রতিক।নৌকা প্রতিক পেয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী তান্ডব শুরু করেন এবং ভয়ে কেউ নির্বাচন করতে সাহস পায়নি রাজাকার পুত্র আনিসুলের বিরুদ্ধে।বিনা প্রতিধন্ধিতায় চেয়ারম্যান হন এই রাজাকার পুত্র।চেয়ারম্যান হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে,তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ৯ জন ইউপি সদস্য তার বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতির চিত্র তুলে ধরেন এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যানের এল,জে,এস,পির কাজ,টি আর,কাবিখা, কর্ম সৃজন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের অনিয়ম তুলে ধরেন।পরবর্তীতে ২২/৯/২০ তারিখে এলাকাবাসী তার অপকর্ম কুকর্মের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।যে বিষয় বিভিন্ন টেলিভিশন,জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্র -পত্রিকায় প্রকাশ পায়,এলাকাবাসী প্রতিবাদ করা শুরু হলে মুখ খুলতে শুরু করে অনেকে।এ যেন কেচোঁ খুড়তে বের হয়ে এলো সাপ,নাটকের শেষ কোথায় ভন্ড প্রতারক,আনিসুলের।
আনিসুল এর কাছে যশোর নওয়াপাড়ার কয়লা ব্যবসায়ী সুমন ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা পাবে কিন্তু ভয়ভিতী দেখিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছেন না,আনিসুল।এদিকে ঢাকা মোহাম্মদপুর এলাকার কমিশনার সলু”র ৩০ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন না প্রতারক আনিসুল।ব্যবসায়ী সুমন ও সলু খোজঁখবর নিয়ে জানতে পারে আনিসুল ইসলাম মনোনয়ন ফ্রম জমা দিতে ঢাকায় আসছে এবং খবর পেয়ে তারা আনিসুলের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে ঢাকা আওয়ামী-লীগ অফিসের সামনে প্রতারক আনিসুল কে পেয়ে যান এসময় ভুক্তভোগী”রা টাকা ফেরত চাওয়ায় দু”পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়,পরে পাশে থাকা পুলিশ দুই পক্ষকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যায় এবং পরবর্তী সমঝোতার মাধ্যমে চেয়ারম্যান সহ তাদের ছেড়ে দেয়।থানা থেকে বেরিয়ে এসে নিজ ইউনিয়নে তার সন্ত্রাসীদের নাটকীয় গল্প বলে সাজিয়ে প্রচার শুরু করে,চেয়াম্যান আনিসুল কে অপহরন ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।আনিসুলের এ মিথ্য গল্পের ঢাকার মিথ্যা ঘটনার সময় বেনজীর নড়াইলে অবস্থান করছিলেন কিন্তু আনিসুল ইসলাম কেন একজন সন্মানী ব্যক্তি বেনজীর সহ বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাদের নামে এমন মিথ্যা,ভিত্তিহীন, বানোয়াট ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছেন।