নব্বই দশকে আমাদের সম্পর্ক গুলো তুলনামূলক গাঢ় ছিলো। কেননা সেই সময়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ছিলো খুবই কম। বেলাশেষে প্রিয় মানুষগুলোর সাথে একান্তই কিছু সময় ব্যায়, মন খারাপের কথাগুলো বলা হতো। এর জন্য তখনকার মানুষ একপ্রকার মানসিক শান্তি পেতো।এঁকে উপরে উপর নির্ভরশীল ছিল, সে কারণে ঝগড়া, বিবাদ খুব অল্পপরিমাণ হতো।
বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে খুবই বেশি। এতে আমাদের জীবন ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, কোনো কাজ করতে আগের চেয়ে কমসময় ব্যায় হয়৷এর জন্য আমরা খুবই আনন্দিত! কিন্তু এটা আমাদের জন্য যতটা খুশির তার চেয়ে বহুগুণ দুঃখের। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধির ফলে মানুষের আত্মঅহংকার বেড়ে গিয়েছে,
এর ক্ষতিকর দিক হলো- মানুষ পরনির্ভরশীল থেকে আত্মনির্ভরশীল হয়েছে। যার ফলে পাশের মানুষজনের সঙ্গে কথোপকথন করার প্রয়োজনবোধ মনে করে না। অবসর সময়ে পিতা-মাতার খোঁজ খবর না নিয়ে ইন্টারনেট ঘাঁটতে থাকে। এখান থেকেই মানুষের সম্পর্ক নষ্টের ধাপ শুরু৷ নিজের মনের কষ্টের কথা গুলো চেপে রাখে, কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করে না।
ধারণা করা যায় অতিরিক্ত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের মানসিক শক্তি হ্রাস পাবে৷
যেমন – শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক ভাবে মোবাইলফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করে। এর চেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো, ফেসবুক, টিকটক, ফ্রি-ফার্য়ার গেমস ইত্যাদি, আসক্ত জনিত অ্যাপ।
ব্রিটিশ লেখক হাওয়ার্ড জ্যাকবসন বলেন, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগ পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আর এসবের কারণে তারা হারাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাসও। জ্যাকবসন আরও বলেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমরা এমন শিশুদের পাব যারা পড়তে পারবে না।
লেখক –মোঃ সেলিম হাসান