৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| রাত ১০:৪২| গ্রীষ্মকাল|
Title :
টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে আ.লীগের কোনো পক্ষ সমাবেশ করতে পারেনি চুনারুঘাটে প্রানিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত বালিয়াডাঙ্গীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীতে মাদ্রাসার পরিচালক ও মোহতামিমগণের সাথে মত বিনিময় সময় টেলিভিশন ১৩ পেড়িয়ে ১৪ তে কুড়িগ্রামে নানার বাড়িতে এসে পানিতে ডুবে আপন খালাতো ভাই বোনের মৃত্যু সৈয়দপুরে সময় টিভির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে রামগড়ে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ক্ষুদে ডাক্তার ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে রামগড়ে অবহিতকরণ সভা পূর্বধলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

ঝিনাইদহের মহেশপুরে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে গাঁয়ের নারীরা

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (মন্টু) খুলনা বিভাগীয় প্রধান:
  • Update Time : রবিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১,
  • 102 Time View

ঝিনাইদহের মহেশপুরের প্রতিটি গ্রাামে গ্রামে কুমড়ো বড়ি তৈরির যেন ধুম পড়েছে। কুমড়ো বড়ি তৈরির উপযুক্ত সময় শীতকাল। শীতের সময় গ্রামের নারীদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। মাষকলাই ভিজিয়ে সেই ডালের সঙ্গে পাকা চালকুমড়ো মিশিয়ে তৈরি করা হয় এ সুস্বাদু বড়ি। শীতের সময় গ্রামের প্রায় ৮০ ভাগ মহিলা পালা করে বড়ি তৈরি করার কাজটি করে থাকেন। কুমড়া বড়ি তরকারির একটি মুখরোচক খাদ্য।এতে তরকারির স্বাদে যোগ হয় নতুন মাত্রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মহেশপুর উপজেলার নারীরা এই বড়ি তৈরি করার জন্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকে চাহিদা মতো পাকা চালকুমড়োর ব্যবস্থা করেন। কুমড়ো বড়ি তৈরিতে মূলত চালকুমড়া এবং মাষকলাইয়ের ডাল প্রয়োজন হয়। মাষকলাইয়ের ডাল ছাড়া অন্য ডালেও তৈরি করা যায় এই বড়ি। মচমচে করে রোদে শুকাতে পারলে এই বড়ির ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।
এ সময় গ্রামের প্রতিটা বাড়ীতে কমবেশি কুমড়ো বড়ি তৈরি করা হয়। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বাজারে বিক্রি ও করেন অনেকে। শীতের সময় কুমড়ো বড়ির চাহিদা থাকে বেশী, আর গ্রামাঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়ো বড়ি তৈরি করেন।
বড়ি তৈরি করা মাইলবাড়ীয়া ঢাকাপাড়া গ্রামের আতরজান খাতুন জানান, বড়ি তৈরির আগের দিন ডাল ভিজিয়ে রাখতে হয়। চালকুমড়া ছিলে ভেতরের নরম অংশ ফেলে মিহিভাবে কুচি করে রাখতে হয়। এরপর কুমড়ো খুব ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বেঁধে সারা রাত ঝুলিয়ে রাখতে হয়। অন্যদিকে ডালের পানি ছেঁকে শিলপাটায় বেটে নিতে হয়।
এরপর বাটা ডালের সঙ্গে কুমড়ো মেশাতে হয়। যতক্ষণ না ডাল-কুমড়োর মিশ্রণ হালকা হয়, ততক্ষণ খুব ভালো করে হাত দিয়ে এ মিশ্রণ মিশাতে হয়। এরপর কড়া রোদে চাটি বা কাপড় বিছিয়ে বড়ির ছোট ছোট আকার দিয়ে একটু ফাঁকা ফাঁকা করে বসিয়ে শুকাতে হয়। এভাবে বড়ি তিন থেকে চার দিন রোদে শুকিয়ে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
সেজিয়া কারিগরপাড়া গ্রামের জহুরা খাতুন বলেন,‘শীতের সময় মূলত বড়ি তৈরি করা হয়। এ বড়ি নিজেদের খাওয়াসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও পাঠানো হয়।’
উপজেলার কুমড়ো বড়ির ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, এখানকার কুমড়ো বড়ি খুব সুস্বাদু হওয়ায় এ অঞ্চলের বড়ি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। বিশেষ করে ঢাকায় এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, শীত মৌসুমে গ্রামের নারীরা কুমড়ো বড়ি তৈরি করে বাড়তি আয় করছে।
গ্রামীণ নারীরা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পৃষ্টপোষকতা পেলে তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category