আজ ২৫ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় নগরী টাউনহলের সামনে চলন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন দফা দাবী নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা; সকল গণপরিবহনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ও সুরক্ষা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলকভাবে নিশ্চিত করা, শেবাচিমে অবিলম্বে বার্ন ইউনিট চালুর দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখর উদ্যগে এই মানববন্ধন করে।
বাসদ বরিশাল জেলা সভাপতি ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, নজরুল ইসলাম খান, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জোহরা রেখা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের শহিদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি সাগর দাস আকাশ, বিজন শিকদার, লামিয়া সাইমুন।
তারা বলেন, এভাবে প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু, অনেকে নিখোঁজ এবং শতাধিক মানুষের অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় সারা দেশের মানুষ শোকে স্তব্ধ।
এইসব গণপরিবহনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী এবং কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ থাকলে এই দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো যেত। আবার আহতদের বেশির ভাগকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও একটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দগ্ধ রোগীরা।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সকল নিহত পরিবারকে আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ, আহতদের সকল ঔষুধের ব্যবস্থা সরকারিভাবে করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান এবং অবিলম্বে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট চালু ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।