১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১১ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি| সকাল ৯:২৯| গ্রীষ্মকাল|
Title :
টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের শোক তারাকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত নোয়াখালীতে দুলাল মেম্বার হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল আসামী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার পূর্বধলায় ভূমি সেবা সপ্তাহ পালিত টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর শোক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগনকে দেখিয়ে পথসভা করছেন – এ আর খান আখির কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি পণ্য ডাল তৈল বিতরণ কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ামিন নামে ১ শিশুর মর্মান্তিক। ইতিহাস সৃষ্টি করলেন যুবলীগ সভাপতি টোকেন চৌধুরী

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসক ও ব্রাদারের বিরুদ্ধে চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
  • Update Time : সোমবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২১,
  • 53 Time View

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মৃত রোগীর স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও বড় বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাঁর বড়ভাই কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন শহরের বড় বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তমাল হালদার ও ব্রাদার সমর চক্রবর্তী ফারুক হোসেনের প্রেসার মেপে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বলে জানায়। ওই চিকিৎসক ও ব্রাদার তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে অনেকক্ষণ হাসপাতালে বসিয়ে রাখেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ করা হলে ডাক্তার ও ব্রাদার তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ফারুককে প্রেসার কমার কোন প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে বরিশালে রেফার করেন ওই চিকিৎসক। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মৃতের পরিবার অভিযোগ করেন, ফারুক হোসেনকে দ্রুত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও ব্রাদার চিকিৎসায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসাও তাঁরা করেনি। উল্টো তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। চিকিৎসা অবহেলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাই ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ওই চিকিৎসক ও ব্রাদারের বিচার দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৃত ফারুক হোসেনের বাবা মো. লাল মিয়া, বড় বোন জোসনা বেগম, ভগ্নিপতি নূর ইসলাম, শ্বশুর আবু বিশ্বাস, ফারুকের মেয়ে জুঁই ও জুথি।

মৃতের বোন জোসনা বেগম বলেন, আমার ভাই ফারুক হোসেনের স্ত্রী চার বছর আগে দুটি কণ্যা সন্তান রেখে মারা যান। মেয়েদের দেখাশুনা করতেন ওদের বাবা।

চিকিৎসকের অবহেলায় ওদের বাবারও মৃত্যু হলো। এখন মেয়ে দুটি এতিম হয়ে গেলো। এ মৃত্যুর জন্য দায়ী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তমাল হালদার ও ব্রাদার সমর চক্রবর্তী। আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।

এ ব্যাপারে ডা. তমাল হালদারের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারো কাছে কোন বক্তব্য দেব না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category