১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১১ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি| ভোর ৫:৫৭| গ্রীষ্মকাল|
Title :
টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের শোক তারাকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত নোয়াখালীতে দুলাল মেম্বার হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল আসামী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার পূর্বধলায় ভূমি সেবা সপ্তাহ পালিত টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর শোক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগনকে দেখিয়ে পথসভা করছেন – এ আর খান আখির কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি পণ্য ডাল তৈল বিতরণ কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ামিন নামে ১ শিশুর মর্মান্তিক। ইতিহাস সৃষ্টি করলেন যুবলীগ সভাপতি টোকেন চৌধুরী

স্বাধীনতার ৫০ বছরঃ কতটুকু সম্নান পেয়েছে জাতির সূর্যন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা

ইমদাদ সুমন তরুণ কবি ও লেখক
  • Update Time : রবিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১,
  • 53 Time View

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলার কৃষক, শ্রকিক,যুবক,বৃদ্ধ, নর-নারী সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্বে ঝাপিয়ে পড়ে।বাংলার আপামর জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয় দেশের জন্য। একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য, একটি স্বাধীন পতাকার জন্য।

অবশেষে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে,তিরিশ লক্ষ শহিদের রক্ত আর দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভম এর বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ১৬ ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ এর মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা,স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। নানা চড়াই উতড়াই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। কিন্তু দীর্ঘ এই ৫০ বছরে বাংলাদেশের জনগণ কতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করতে পেয়েছে, আর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য যারা নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাদেরই বা কতটুকু সম্নান দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক,চিকিৎসা সূচকে উন্নতি করলেও অনেক ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে আছে। সবচেয়ে বড় দুঃখজনক বিষয় হলো বাংলাদে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন করলেও,স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা প্রাপ্র সম্নান স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো পায়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন দেয়া শহিদ পরিবার গুলো যথাযথ সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা স্বাধীন বাংলাদেশে পাচ্ছে না।

স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন দেয়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে শওকত বোতল কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ১৯৮২ সালে সরকারের দেয়া একটি বাড়িতে জরাজীর্ণ অবস্থায় একমাত্র মেয়ে বৃষ্টি ও স্ত্রীকে নিয়ে বিবিশিকাময় দিন পার করেছেন। অথচ তার বাবা দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। রুহুল আমিন যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন,বিনিময় স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন ঠিকই কিন্তু তার আক্ষেপ হয়তো যায়নি।

একাত্তরে জীবন দেয়া অন্য সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারও কি যথাযথ সম্মান পেয়েছে নাকি শহিদরা পেয়েছেন।স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বীরশ্রেষ্ঠদের নামে কোন সরকারি স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো স্থাপন হয়নি। শুধু বিশেষ দিবস বা দিন ব্যাতীত তাদের কথা কি স্বাধীন বাংলাদেশ মনে রেখেছে না আমার স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্বের কথা মনে রেখেছি।

স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদ হওয়া সাত বীরশ্রেষ্ঠসহ, সকল মুক্তিযুদ্ধাদের তাদেন প্রাপ্র সম্নান দেয়া সরকারের দায়িত্ব, আমাদের জনগণের দায়িত্ব । তাদেরকে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া না গেলে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা কখনোই পূর্ণতা পাবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category