২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি| দুপুর ১:২৯| হেমন্তকাল|
Title :
“আমাদের যে নতুন সরকার এসেছে আমরা সেই সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।”- মীর আবুল কালাম আজাদ রতন “হুজুররা আমাদের ঈমানের কথা বলবেন, তাদের কথা আমরা মন ভরে শুনবো।”- মাইনুল আলম খান কনক পূর্বধলায় যুব ফোরামের উদ্যোগে হুইসেল ব্লোয়ারদের অন্তর্ভুক্তি সভা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী – সোনাহাট স্থলবন্দর মহাসড়কে ট্রাক – অটোরিক্সা সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৪ জন যাত্রী পূর্বধলায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত সূর্য শিক্ষা পরিবারের প্রধান কার্যালয়ে বার্ষিক শিক্ষা সমাপনী ক্লাস পার্টি’২৪ অনুষ্ঠিত ইউএনও’র বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্বধলায় মানববন্ধন বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’২৪ উপলক্ষে নাগরপুর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন নাগরপুরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার আর নেই

বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন।

ইমদাদ সুমন
  • Update Time : শনিবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১,
  • 87 Time View

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে বলা হয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। বিজয়ের ৫০ বছরে এসে সেই তলাবিহীন ঝুড়ি আজ উন্নয়নশীল দেশ হতে চলেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ একটি আলোকিত নাম। বর্তমানেবাংলাদেশ কে বলা এশিয়ার টাইগার। কিন্তু এ পথচলা অতটা সহজ ছিল না,যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের। খাবার ছিল না,পোশাক ছিল না,বাসস্থান ছিলনা। ছিলনা শক্তিশালী অর্থনীতি। জরাজীর্ণ একটি ভূখন্ড, পরিশ্রম, অসীম মনোবল ছিল বাঙালির মনে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।একসময়ের তলাবিহীন ঝুঁড়ি তকমা বয়ে যাওয়া বাংলাদেশ, বিজয়ের ৫০ বছরে এসে এ যেন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ৫০ বছরের পথচলা সামান্য নয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে অর্থনৈতিক দিক থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেয়েছে। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি, ২০১৮-২০১৯-এ ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি, ২০১৯-২০২০-এ ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি এবং ২০২০-২০২১ সালের বাজেট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। ১৯৭২-১৯৭৩ সালের তুলনায় বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ৭২২ গুণ। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে উন্নয়ন বাজেটের আকার ছিল ৫০১ কোটি টাকা, ২০১৮-২০১৯ সালে যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি, যা ৩৪৫ গুণ বেশি।

স্বাধীনতা-পরবর্তী এক দশক আমাদের অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিনির্ভর। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হিসেবে অর্থনীতির কাঠামো ছিল নাজুক।১৯৭২-৭৩ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২.৭৫ ভাগ (১৯৭২-৭৩)। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.০৮ শতাংশ। ১৯৮৫ সালে সার্বিক বিনিয়োগের ৩৭ শতাংশের মধ্যে ব্যক্তি খাতের অবদান ছিল ৮০ শতাংশ।১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আমাদের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.০৮ শতাংশ। ২০০৮ থেকে ২০১০ সালে তা বেড়ে হয় ৫.০৯ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সময়কালে বেড়ে হয়েছে ৬.০২ শতাংশ। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭.০৪ শতাংশে। স্বাধীনতার ৫০ বছর অর্জনের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। ১৯৭৪ সাল থেকে যেখানে আমাদের রিজার্ভ ছিল মাত্র ৪২.৫ মিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২১ সালের রিজার্ভের পরিমাণ ৪৭ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। উন্নতি হয়েছে কৃষি খাতে
১৯৭২ সালে ধান উৎপাদন ছিল মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ধান উৎপাদন হয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ টন।আলু উৎপাদনে বিশ্বে আমরা ষষ্ঠ, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম,সবজি উৎপাদনে তৃতীয় ,ছাগলের দুধ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়,ছাগলের সংখ্যা ও গোশত উৎপাদন চতুর্থ, আম ও পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম, তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।

বিজয়ের ৫০ বছরে এসে মহাকাশে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রেরণ, দারিদ্র্য বিমোচন,শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষনা,শিল্প, সাহিত্য। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ নজিরবিহীন উন্নতি করেছে। একসময় যে দেশটি তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত ছিল ২০৩৫ সালের মধ্যে সেই দেশটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
বাংলাদেশের এই উন্নতি অব্যাহত থাকুক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category