২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি| সন্ধ্যা ৭:২৬| হেমন্তকাল|
Title :
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে জননেতা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক নাগরপুরে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন নাগরপুরে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের ৭টি আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন যারা টাঙ্গাইল-৬ আসনে বিএনপি’র ধানের শীষের কান্ডারী হলেন জননেতা রবিউল আওয়াল লাভলু জামায়াতের নবনির্বাচিত আমীরকে টাঙ্গাইল-৬ আসনের এমপি প্রার্থী আব্দুল হামিদের শুভেচ্ছা টাঙ্গাইল নাগরপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে জননেতা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক এর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জননেতা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক এর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে স্থানীয় ভোটারদের নিকট আস্থার অপর নাম জননেতা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সহজবোধ্য করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন।

ইমদাদ সুমন
  • Update Time : শনিবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১,
  • 144 Time View

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে বলা হয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। বিজয়ের ৫০ বছরে এসে সেই তলাবিহীন ঝুড়ি আজ উন্নয়নশীল দেশ হতে চলেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ একটি আলোকিত নাম। বর্তমানেবাংলাদেশ কে বলা এশিয়ার টাইগার। কিন্তু এ পথচলা অতটা সহজ ছিল না,যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের। খাবার ছিল না,পোশাক ছিল না,বাসস্থান ছিলনা। ছিলনা শক্তিশালী অর্থনীতি। জরাজীর্ণ একটি ভূখন্ড, পরিশ্রম, অসীম মনোবল ছিল বাঙালির মনে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।একসময়ের তলাবিহীন ঝুঁড়ি তকমা বয়ে যাওয়া বাংলাদেশ, বিজয়ের ৫০ বছরে এসে এ যেন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ৫০ বছরের পথচলা সামান্য নয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে অর্থনৈতিক দিক থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেয়েছে। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি, ২০১৮-২০১৯-এ ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি, ২০১৯-২০২০-এ ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি এবং ২০২০-২০২১ সালের বাজেট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। ১৯৭২-১৯৭৩ সালের তুলনায় বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ৭২২ গুণ। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে উন্নয়ন বাজেটের আকার ছিল ৫০১ কোটি টাকা, ২০১৮-২০১৯ সালে যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি, যা ৩৪৫ গুণ বেশি।

স্বাধীনতা-পরবর্তী এক দশক আমাদের অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিনির্ভর। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হিসেবে অর্থনীতির কাঠামো ছিল নাজুক।১৯৭২-৭৩ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২.৭৫ ভাগ (১৯৭২-৭৩)। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.০৮ শতাংশ। ১৯৮৫ সালে সার্বিক বিনিয়োগের ৩৭ শতাংশের মধ্যে ব্যক্তি খাতের অবদান ছিল ৮০ শতাংশ।১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আমাদের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.০৮ শতাংশ। ২০০৮ থেকে ২০১০ সালে তা বেড়ে হয় ৫.০৯ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সময়কালে বেড়ে হয়েছে ৬.০২ শতাংশ। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭.০৪ শতাংশে। স্বাধীনতার ৫০ বছর অর্জনের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। ১৯৭৪ সাল থেকে যেখানে আমাদের রিজার্ভ ছিল মাত্র ৪২.৫ মিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২১ সালের রিজার্ভের পরিমাণ ৪৭ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। উন্নতি হয়েছে কৃষি খাতে
১৯৭২ সালে ধান উৎপাদন ছিল মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ধান উৎপাদন হয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ টন।আলু উৎপাদনে বিশ্বে আমরা ষষ্ঠ, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম,সবজি উৎপাদনে তৃতীয় ,ছাগলের দুধ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়,ছাগলের সংখ্যা ও গোশত উৎপাদন চতুর্থ, আম ও পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম, তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।

বিজয়ের ৫০ বছরে এসে মহাকাশে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রেরণ, দারিদ্র্য বিমোচন,শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষনা,শিল্প, সাহিত্য। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ নজিরবিহীন উন্নতি করেছে। একসময় যে দেশটি তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত ছিল ২০৩৫ সালের মধ্যে সেই দেশটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
বাংলাদেশের এই উন্নতি অব্যাহত থাকুক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category