নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নে ব্যাপক ভোটে এগিয়ে রয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ইন্জিনিয়ার কামরুল জাম্মান কামরান। তার নির্বাচনী প্রতিক ঘোড়া।
তিনি এক জন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। এলাকাঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ঘোড়া মার্কার সমর্থক। পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম। ছোট শিশু, কিশোর, যুবক সকলের মুখে একটা স্লোগান সেটি হল ঘোড়া মার্কার স্লোগান। তার জনপ্রিয়তায় ইউনিয়নে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থী। শুধু তাই নয় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রচার প্রচারণায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। আজ (১৭ ডিসেম্বর) লাহুড়িয়া এগার নলি শুকুর মোল্লার বাড়িতে মহিলা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে সুখে দুখে সকলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। স্থানীয় একাধিক ভোটার জানান,তার মৃষ্ট ভাষা সকলের মন জয় করে নিয়েছে। ইতিপূর্বে এহেন আচারন কোন রাজনৈতিক নেতার নিকট পায় নাই স্থানীয় রা। রাতের আঁধারে সেবা পেয়েছে অসহায় মানুষ। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে, দেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে,ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি৷ তার ইউনিয়নে সমাজ সেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । তার বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ড নজির হয়ে রয়েছে।
তিনি ইউনিয়নে দুস্থ অসহায় মানুষের সেবা করে চলেছেন। করোনা কালীন সময়ে অসংখ্য পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। গোপনে নগত অর্থ সহায়তা করেছেন। সাংবাদিকদের একান্ত সাক্ষাৎকারে নড়াইলের এই কৃতি সন্তান চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ইন্জিনিয়ার কামরুল জাম্মান কামরান বলেন, নির্বাচিত হলে জনগণের বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা প্রদানে সততার সাথে বন্টন করবেন । রাস্তা ঘাট, মন্দির, মসজিদ সংস্কার কাজ ও সততার সাথে করার মানুষকতা রয়েছে । গ্রাম আদালত পরিচালনায় সুশাসনের প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি আরো বলেন,
ইতিহাসে সাক্ষী আছে যে- নবীনরাই ইতিহাস সৃস্টি করে। আমি স্বপ্ন দেখেছি!ইউনিয়নবাসী সুযোগ দিলে অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো এবং দেখিয়ে দেবো আমরা নবীনরাও পারি। বয়স মূল কথা নয়, কাজের ইচ্ছা শক্তি ও সঠিক পরিকল্পনাই মূল কথা। যদি সঠিক পরিকল্পনা সামনে রেখে নিবেদিত প্রাণে কাজ করা যায়, তবেই সম্ভব। জনগণ আমার পরিবার। জনগণের দোয়া ও ভালবাসাই আমার চলার পথ। ইউনিয়নবাসীর কাঙ্খিত দাবী ইতিপূর্বে নির্বাচিত কোন চেয়ারম্যান পুরোপুরিভাবে পূরন করতে পারেননি। এতে জনগণের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ ভাত-কাপড় চায় না। জনগণ সুখ-দুঃখে জনপ্রতিনিধিদের পাশে পেতে চান। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সাথে দীর্ঘদিনের পথচলা আমার। আমি সাধারণ নাগরিক থেকে বুঝতে পারেছি জনগণ কি চান। তাই আমি তাদের আশা-আকাঙ্খা পূরনের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানি করতে চাই । তাদের চাহিদা পুরন করতে চাই।
তৃণমুল পর্যায়ের জনসাধারনের ক্ষুদ্র সেবক হয়ে দীর্ঘদিন যাবত দূর থেকে হলেও পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো। ইউনিয়নবাসী তথা জনগণ আমার পরিবার। তাদের সুখ-দুঃখ ঘিরে আমার রাজনীতির জীবন শুরু।
জনগনের পূর্ণ বিশ্বাস ও ভালোবাসায় এবার
নির্বাচনের মাঠে আসতেছি। আমি মনে করি এলাকার মেহনতি ও খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলো আমার সাথে আছেন।
আমি চেয়ারম্যান হয়ে ইউনিয়নে
পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা করার পাশাপাশি, মাদক ও সন্ত্রাসের কুফল সর্ম্পকে প্রতিটি সভা-সমাবেশে আলোচনা করব। আমি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনগণকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানাই। ইভটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আপনার/আমার ভাই-বোন হতে পারে। তাই তাদের সাথে খারাপ আচারণ বা ঘৃনা না করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি ।