বরগুনার বেতাগী উপজেলায় নিজের কোন ঘর না থাকায় প্রতিবেশীর গোয়াল ঘরে বাস করা ৭৫ বছরের বৃদ্ধ ও তার ১৪ বছরের মেয়ের জীবন এখন বিপন্ন।
গোয়াল ঘরে বাস করা বৃদ্ধ মকবুল হোসেন হাওলাদার এবং তার কিশোরী মেয়ে মিম এর মানবেতর জীবন যাপনের এই গল্প কাঁদাচ্ছে সবার বিবেককে।
গবাদিপশুর বর্জ্যের মধ্যে নিরুপায় হয়ে বাস করা আশ্রয়হীন ওই বৃদ্ধর শেষ বয়সে যেন দেখারও কেউ নেই। তীব্র শীতে গোয়াল ঘরের স্যাঁতসেতে মেঝেতে বিছানো খরকুটা ও ছেড়াঁ কম্বল এখন তার এবং মেয়ের ভরসা। রোগাক্রান্ত শরীর নিয়ে কোনদিন কখনও খেয়ে আবার কখনও না খেয়েই দিন যাচ্ছে ৭৫ বছরের মকবুল হাওলাদার এবং তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে মিম এর।
অসহায় মকবুল হাওলাদারকে নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের আলোতে প্রচার হলে সংবাদটি নজরে আসে পুলিশের আইজিপি ডক্টর বেনজীর আহমদের সহধর্মিণী (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মির্জার।
জীশান মির্জার পক্ষ থেকে দরিদ্র মকবুল হাওলাদারকে একটি ঘর তুলে দিবেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিডিয়া পাবলিক রিলেশন পুলিশ হেডকোয়ার্টার এর এ আই জি মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, সভানেত্রী জীশান মির্জার নজরে সংবাদটি আসলে তিনি খুব কষ্ট পান। বৃদ্ধ খুব মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাকে একটি বসবাসের উপযোগী ঘর করে দিতে হবে।