বরিশাল নগরীতে ২২৫ টি পয়েন্টে সিসিটিভি ৮,টি ফেস ডিটেকশন ও ৩৬০ ডিগ্রি আ্যাঙ্গেলের পিটিজেড ক্যামেরা চালু হয়েছে এতে ২৪ ঘন্টা নজরদারিতে থাকবে পুরো নগরী এতে ৯ সদস্যর প্রশিক্ষনপ্রাপ্তদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে কমান্ড এ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার অপরাধীদের শনাক্ত করবে পুলিশের ক্যামেরা। নগরজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি চালু করা হয়েছে ফেস ডিটেক্টর সফটওয়্যার। চিহ্নিত অপরাধীরা ক্যামেরার আওতায় আসলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা জানান দেবে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অপরাধ দমন ও সংঘটিত ঘটনার তথ্য উদঘাটনসহ চিহ্নিত অপরাধী মহানগরীতে ঢুকলেই সংকেত আসছে পুলিশের এই দপ্তরে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. রাসেল জানান, আমাদের কন্ট্রোল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশই ছিল বরিশাল নগরীকে নিরাপদ রাখা এবং অপরাধীদের গমনাগমনকে যাতে নিয়ন্ত্রণ করা। মূলত মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট, চুরি, ছিনতাই, সামাজিক অপরাধসহ নানা দুর্ঘটনা নাগরিকদের বিপাকে ফেলছে। এসব ঠেকাতেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাঠে নেমেছে নগর পুলিশ।
অপরাধ দমনে সুধী সমাজ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কারো ব্যক্তি স্বাধীনতা যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বরিশাল সনাকের সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা।
এ বিষয়ে নগর পুলিশ বলছে, বরিশালে কেউ এখন আর অপরাধ করে পার পাবে না। অসংগতি যেখানেই ঘটুক, মুহূর্তেই সেখানে হাজির হবে পুলিশ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এটার মাধ্যমে কিন্তু আমরা অপরাধীদের যেমন করে চিহ্নিত করে ধরতে পারি আবার অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে ডেটারেন্ট হিসেবে কাজ করে।
এরই মধ্যে এই প্রকল্পে ছিনতাইয়ের নাটক, চুরি, সড়ক দুর্ঘটনাসহ অর্ধ শতাধিক রহস্য উন্মোচন হয়েছে। অপরাধ দমনে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শিগগিরই আরও ৫০০ স্থান এমন প্রযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।