১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১১ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি| সকাল ৯:১১| গ্রীষ্মকাল|
Title :
টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের শোক তারাকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত নোয়াখালীতে দুলাল মেম্বার হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল আসামী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার পূর্বধলায় ভূমি সেবা সপ্তাহ পালিত টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর শোক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগনকে দেখিয়ে পথসভা করছেন – এ আর খান আখির কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি পণ্য ডাল তৈল বিতরণ কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ামিন নামে ১ শিশুর মর্মান্তিক। ইতিহাস সৃষ্টি করলেন যুবলীগ সভাপতি টোকেন চৌধুরী

পাঁচ বছর ধরে সেতু ভাঙা, দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো
  • Update Time : রবিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২১,
  • 46 Time View

এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিশু সাঁকো পার হতে গিয়ে খালে পড়ে গেছে। রোগীকে হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগ।

ভাঙা সেতুতে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। গতকাল সকালে পিরোজপুর সদর উপজেলার খানাকুনিয়ারি গ্রামে ভাঙা সেতুতে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। গতকাল সকালে পিরোজপুর সদর উপজেলার
পিরোজপুর সদর উপজেলার খানাকুনিয়ারি গ্রামের গুদিঘাটা খালের ওপর বাঁশ ও সুপারিগাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে এলাকাবাসী। পাঁচ বছর আগে সেখানে লোহার সেতুটি ভেঙে যায়। নতুন সেতু তৈরি না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পাঁচ গ্রামের মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গুদিঘাটা খালের ওপর ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোহার সেতুটি নির্মাণ করে। সাত থেকে আট বছর আগে বালুবাহী কার্গোর ধাক্কায় সেতুটির লোহার খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কয়েক বছর পর ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর সেতুর পশ্চিম প্রান্তের একাংশ খালে ভেঙে পড়ে যায়।

গুদিঘাটা খালের পশ্চিম দিকে রয়েছে পোরগোলা, ভোরা, রাজারকাঠি, বাগমারা, পশ্চিম চর কদমতলা গ্রাম। পূর্ব দিকে রয়েছে খানাকুনিয়ারি ফাজিল মাদ্রাসা, খানাকুনিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদমতলা জর্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পশ্চিমের গ্রামগুলোর কয়েক হাজার বাসিন্দাকে জেলা ও উপজেলা সদর, হাসপাতাল ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল–কলেজ ও হাটবাজারে সড়কপথে যেতে গুদিঘাটা খালের ওপর খানাকুনিয়ারি সেতু পার হতে হতো। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে সাঁকো পার হয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধদের সাঁকো পার হতে কষ্ট হয়।

পোরগোলা গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুর ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর আগে সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর নতুন সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী কত চেষ্টা করল। কিন্তু সেতু নির্মাণ করা হলো না। সেতু না থাকায় গ্রামবাসীকে কষ্ট করে কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিতে হচ্ছে। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

খানাকুনিয়ারি পি আর ফাজিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তানভীর শেখ বলে, ‘সাঁকো পার হয়ে আমরা মাদ্রাসায় যাই। সাঁকো পার হতে ভয় লাগে। এখানে একটি সেতু হলে ভালো হতো।’

সেতু ভেঙে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিশু সাঁকো পার হতে গিয়ে খালে পড়ে গেছে বলে জানান খানাকুনিয়ারি গ্রামের আবদুস সোবাহান মোল্লা। তিনি বলেন ‘শিশু ও বৃদ্ধরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে চলাচল করছে। দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দ্রুত নতুন সেতু

নির্মাণের দাবি জানাই।
কদমতলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান বলেন, ‘সেতু ভেঙে যাওয়ার পর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি তুলেছিলাম। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু পাঁচ বছরেও সেতু হলো না।’

উপজেলা প্রকৌশলী হরষিৎ সরকার বলেন, খানাকুনিয়ারি গ্রামের গুদিঘাটা ভাঙা সেতুটির জায়গায় নতুন গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ডিপিপি তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই সেখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category