১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| রাত ৩:১২| শরৎকাল|
Title :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ৬০পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার ১। রাস্তার বেহাল অবস্তায় সাধারণ মানুষের চলাফেরার ভোগান্তির শেষ নেই। জিকে গউছের মুক্তির দাবীতে চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত দুর্গাপুরে রুসার আয়োজনে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন বালিয়াডাঙ্গীতে আইন শৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত পূর্বধলায় ভারতীয় মদসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরিচিতি সভায় নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা, ইয়াবাসহ প্রধান আসামি গ্রেফতার সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলার চিশতীকে ইউএনও’র ফুলেল শুভেচ্ছা

নেতৃত্ব দেয়া উচিত না-যাচাই বাছাই না করে -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : শনিবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২১,
  • 101 Time View

নেতৃত্ব দেয়া উচিত না-যাচাই বাছাই না করে -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন , আওয়ামী লীগের নেতা তো বটেই, কিন্তু যারা মন্ত্রী, এমপি, নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের চলন, কথা বলায় শিষ্টাচার তো অবশ্যই থাকতে হবে। তাদের কথা বার্তায় যদি এমন প্রকাশ হয় যে সে যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ধর্ম নিরপেক্ষতা এসবের বাইরে গিয়ে যদি সে কোন উক্তি করে বা বক্তব্য দেয় তাইলে বুঝতে হবে সে দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইছে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতেই হবে। এর বাইরে সামাজিক ভাবে যে বিষয়গুলো বিতর্কিত অথবা যে গুলো নিয়ে কথা বললে অন্য মানুষ অমর্যাদা হয় যেমন নারী নিয়ে বা কোন একটা বিশেষ গোষ্ঠী নিয়ে , কিংবা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল নিয়েও যদি সমালোচনা করতে হয় তাহলে শালীনতার সাথে করতে হবে। সবকিছু ছাপিয়ে যখন তার ব্যক্তিগত আচরণ যেটা গ্রহণযোগ্য নয় সেটার প্রতিফলন যদি ঘটে তার বক্তব্যে তখনও এটা দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে।

সম্প্রতি পদত্যাগ করা সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মুখে পদত্যাগ, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার সহ নানা আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযানের নানা বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, মুরাদ অনেক দিন ধরেই এই রকম করে যাচ্ছিল। তার বক্তব্যের মধ্যে অসংলগ্নতা, বেপরোয়া ভাব ছিল, এটা দলের জন্য ক্ষতি করেছিল। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই অপরাধে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধেও যদি এখনই ব্যবস্থা নিয়ে নেয়া হয় তাহলে আমি মনে করি দল কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যখন নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসবে তখন সামাজিক যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে তখন সেটা সামাল দেয়া কঠিন হবে। যারা আওয়ামী লীগ করে, দলের সুবিধা নিচ্ছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ , অসাম্প্রদায়িকতা এগুলাতে বিশ্বাস করে না তাদেরকে বাছাই করে একই প্রক্রিয়ায় দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আর যারা বিভিন্ন পদ নিয়ে আছে তাদের চাল চলনে যদি এমন কিছু হয় যেটা দলকে বিব্রত করে কিংবা জনগণকে বিক্ষোভ করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। গাজীপুরের মেয়র এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ব্যাপারে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এ রকম ব্যবস্থা অনেকের বিরুদ্ধেই নেয়া উচিত। তাহলে দল শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে , ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল তা দূর হবে।

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছাত্রজীবনের শুরুতে ছাত্রদল করা প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ওর বাবা ছিল আওয়ামী লিগের নেতা। অসুস্থ ছিলেন, একদম চলাফেরা করতে পারতেন না। তার বাবাই তাকে যুবলীগ অফিসে নিয়ে আসে। তার বাবা আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী কর্মী, তার ছেলে যুবলীগ করতে চায়। সে যে ছাত্রদল করতো সেটা তখন সেভাবে ক্ষতিয়ে দেখা হয়নি, যেহেতু তার পারিবারিক সমস্যা ছিলো না। আর এভাবেই সে যুবলীগে জড়িয়ে পরে। কেউ যদি একটা দল করে এবং ভুল বুঝে আরেকটা দলে যোগ দেয় -এরকম ঘটনা বহু আছে। তারা একেবারে নেতৃত্বে চলে আসার সময় এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়। কারণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যখন হয় তখন অনেকেই নমিনেশন পাওয়ার জন্য সামনে চলে আসে। কিন্তু তখন তার ব্যাক গ্রাউন্ড দেখা হয়।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র জীবনে কেলেঙ্কারি আছে কিনা, সে ছাত্র জীবনে কোন বিতর্কিত কাজ করছে কিনা। একই ভাবে আওয়ামী লীগ যেহেতু গণ মানুষের পার্টি। বহু লোক আগে হয়তো অন্য দল করতো, ভুল করছে, তারা এসে আওয়ামী লীগ করবে। তাদের নেতৃত্বে চলে আসার ব্যাপারটি যেন আরও ক্ষতিয়ে দেখা হয়। সে কর্মী হিসেবে থাকতে পারে। কিন্তু নেতৃত্বে আসার ক্ষেত্রে তাদেরকেও আরও যাচাই বাছাই না করে নেতৃত্ব দেয়া উচিত না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category