মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় উপজেলা প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে এক প্রবাসীর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই প্রবাসী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে নিখোঁজের ১৪দিন পরে ( সোমবার ) রাতে তাকে উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর নাম জিয়াউল হক বাবু (২৮)। সে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল জলিল সরকারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী জানায়, গত মে মাসে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন তিনি। সেই মাসেই পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের জাকির হোসেনের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি তার স্ত্রীর মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন। অযথা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা এবং শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে থাকার বাহানা খুঁজতে থাকে তার স্ত্রী। এদিকে স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকায় মানবিক দিক বিবেচনা করে গত কুরবানী ঈদের পর তিনি তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে থাকার অনুমতি দেন। শ্বশুরবাড়িতে যাবার পর তার সাথে আগের চাইতে বেশি খারাপ আচরণ করতে থাকে তার স্ত্রী। বিভিন্ন সময় তাকে ফোন করলে ওয়েটিংয়ে পাওয়া যেত এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতো তার স্ত্রী। এর মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে তার স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি এবং তার শ্বশুর পৃথকভাবে গজারিয়া থানায় দুটি ডাইরী দায়ের করেন। থানায় অভিযোগের খবর শুনে অজ্ঞাত একটি মুঠোফোন থেকে তার মোবাইলে কল করে তার স্ত্রী জানায় প্রতিবেশী আবু সিদ্দিকের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে রায়হান(১৭)’এর সাথে সে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সম্প্রতি তারা বিয়েও করেছে। এদিকে নিখোঁজের ১৪দিন পর ৪অক্টোবর ( সোমবার) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গজারিয়া থানার এসআই অলিআর রহমান জানান, নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন ট্রাকিং-এর মাধ্যমে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা থেকে তাকে উদ্ধার করা। তবে তাকে সেখান যে নিয়ে গেছে সেই রায়হানকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগী জিয়াউল ইসলাম বাবু। তিনি জানান, ইতিমধ্যে আমি আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি আগামীকাল সকালে আমি মুন্সীগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করব। এই বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছি। একজন স্বামী বর্তমান থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স না দিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করা অবৈধ। সে যাতে সাজা পায় সেজন্য আমি মামলা চালিয়ে যাব।