নলছিটির দপদপিয়াতে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় এক ঠিকাদার কে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে|
গত সোমবার আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় নলছিটি উপজেলার ৯ নং দপদপিয়া ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড নরউওমপুর গ্রামের একিনশা সড়কের কার্পেটিং কাজের জন্য ঠিকাদার মোঃ কাওছার হোসেন উক্ত কাজের জন্য পাথর বিটুমিন সহ অন্যান্য মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে আসে নির্ধারিত স্থানে রাখার জন্য। কিন্তুু সেখানে স্হানীয় বখাটে চাঁদাবাজ, মোঃ রফিক খন্দকার, মোশারফ খন্দকার, জসিম খন্দকার সহ তাদের সাথে বহিরাগত কিছু লোকজন এসে উক্ত স্থানে মালামাল রাখতে বাঁধা প্রদান ও বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। আর তারা বলে এখানে মালামাল রাখতে হলে ও রাস্তার কাজ শুরু করার আগে তাদেরকে খুশি করতে হবে। ঠিকাদার কি খুশি করতে হবে জানতে চাইলে চাঁদাবাজ রফিক বলে আপনি ব্যাবসা করবেন আর আমাদের কিছু দিবেনা এটা কি হয়। এই বলে ৫০,০০০ হাজার টাকা দাবি করে। ঠিকাদার এতে রাজি না হওয়ায় স্হানীয় লোকজন কে বিষয় টি জানায়। এলাকাবাসী ঠিকাদারের সাথে একমত পোষণ করে বলেছেন, কোন গুন্ডা মাস্তান কে কোন টাকা দেওয়া হবেনা। আমরা আপনার সাথে আছি। এই মালামাল এই জায়গায়ই থাকবে এবং এখান থেকেই কাজ শুরু হবে।
তারপর এলাকায় সকল শ্রেনীর লোক ওখানে গিয়ে কাজ শুরু করলে চাঁদাবাজ লম্পট রফিক খন্দকার, মোশারফ খন্দকার, জসিম খন্দকারসহ বহিরাগত কিছু লোকজন প্রত্যেকে হাতে ব্যলচা, শাবল,রড,কোদাল নিয়ে ঠিকাদার কাওছার আহম্মদ ও তার গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারের ওপর আক্রমণ করে। স্হানীয় লোকজন প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর ও হামলা করে।
স্হানীয় গরীব অসহায় মহিলা মোসাঃ মনি আক্তারকে ইট ধারা মাথায় আঘাত করে। এতে তার প্রচুর রক্ত ক্ষরন ও মারাত্বক জখম হয়। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক।তাকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এতে আরও আহত হয়েছেন মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মোঃ হিরন শিকদার, মোঃ মনির হোসেন কাজি, মোঃ চানমিয়া, মোঃ সাগর শিকদার। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আনা হয়ছে।
চাঁদাবাজ মোঃ রফিক খন্দকার গণধোলাই খেয়ে সটকে পরে।বর্তমানে নলছিটি মেডিকেল এ চিকিৎসাধীন আছে|অপরদিকে আহত মনি বেগমের চিকিৎসা চলছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।