গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় মারুফা আক্তার (১৪) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী ইমন (১৯)।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর রাতে কাপাসিয়া থানাধীন বড়বের গ্রামের পিতা মাসুদ মিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেন।
ভিকটিমের পিতা মোঃ মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী ইমন ,পিতা আব্দুল্লাহ সাং বরকল,থানা শ্রীপুর, এর বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার নং (৫) ।
মামলা দায়ের পর জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ মহোদয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালীগঞ্জ সার্কেল ফারজানা ইয়াছমিন এর তদারকিতে অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম নাসিম এর নেতৃত্বে কাপাসিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে শ্রীপুর থানাধীন সাতখামাইর রেলস্টেশন এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী ইমন কে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। আসামী ঘাতক স্বামী ইমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদালতে পেশ করেন।একই সঙ্গে উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আজিজুল হক মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ অভিযোগ পত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন । উল্লেখ্য যে, কিছুদিন পূর্বে ভিকটিম মারুফাকে তার শশুর বাড়ীতে চুরি করার অপবাদ দিলে মারুফা রাগ করে প্রথমে নানীর বাড়ী এবং পরে বাবার বাড়ী চলে আসে। কয়েকদিন পর স্বামী ইমন তার স্ত্রীকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিতে শশুরবাড়ী যান এবং সেখানে রাত যাপন করেন। রাতের বেলা স্ত্রী মারুফা তার স্বামীর সাথে পুনরায় ফিরে যেতে অস্বীকার করে। এরপর মারুফা ঘুমিয়ে পরলে ঘাতক স্বামী ইমন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।