নিম্নচাপের প্রভাবে গত তিন দিন ধরে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও রবিবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর বিস্তীর্ণ জনপদজুড়ে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বাড়ায় বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে আছে।
গত তিন দিনেও এ জনপদের মানুষ দেখেনি সূর্যের আলো। এর ফলে বয়ে চলা হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
রবিবার সকাল নয়টা থেকে সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীসহ কর্মজীবী মানুষজন। স্বাভাবিক কাজ-কর্মে স্থবিরতা নেমেছে শহর থেকে গ্রামীণ জনপদে। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানেও পড়েছে এর ব্যাপক প্রভাব।
সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা কয়েক হাজার পর্যটক কার্যত হয়ে পড়েছেন হোটেলবন্দী। দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ না করেই অনেক পর্যটক বাড়ি ফিরে গেছেন। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনেক পর্যটক তাদের আগাম বুকিং বাতিল করেছেন। বেশ কিছু দিন অবস্থানের জন্য যেসব পর্যটক এসেছিলেন তারা অনেকেই ছফর বাতিল করে ফিরে গেছেন।
নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ করেই টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। অনেক কৃষকের পাকা আমন ধান ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাষকৃত রবিশস্য এবং মৌসুমী সবজি উৎপাদনে ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আগাম তরমুজ চাষিরা। তারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সদ্য চাষকৃত ক্ষেতে বপনকৃত বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। এই দূর্যোগের পরে পোকার আক্রমণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
রবিবার সন্ধ্যা ছয়টায় নিম্নচাপটি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।