ঝালকাঠির কাঁঠালিয়াতে রাজাকার পরিবারে হাতে নির্যাতনের শিকার এক পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে|আজ (০৫ ডিসেম্বর)রবিবার বিকেলে কাঠালিয়া সাংবাদিক ক্লাবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়|
সংবাদ সম্মেলনকারীরা এক লিখিত বক্তব্যে তাদের প্রতি সহিংসতার চিত্র উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন|লিখিত বক্তব্যে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,
আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী মােঃ আবুল কালাম, পিতা- মােঃ সায়েদ সিকদার, মােঃ তুলিপ মল্পিক,পিতা- মােঃ
মাহবুবুর রহমান দুল্লাল মল্লিক, মােঃ বাবুল হাওলাদার, পিতা- মৃত চাঁন মিয়া হাওলাদার, গমি- দক্ষিন আউরা,
ডাকঘর- কাঠালিয়া,উপজেলা- কাঠালিয়া, জেলা- ঝালকাঠি।
আমরা সকলে উপস্থিত হইয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করিতেছি আমাদের একই গ্রামের গহুর মল্লিক ওরফে রাজাকার গহুর আমার দাদা পবন আলী সিকদার সহ তার পরিবারের লোকজনদের বিগত ৬০/৭০ বছর ধরে অন্যায়ভাবে জমিজমা ও অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তখন আমার দাদা দাদি ও তাহাদের পরিবারের লােকজনকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়া জেল খাটিয়েছেন।তাহাদের মৃত্যুর পর আমাদের বাবা ও চাচাদের বিভিন্ন সময় গহুর মল্লিক ওরফে
রাজাকার গহুর এবং তাহার ছেলে মতিউর রহমান মল্লিক ওরফে রাজাকার মতিউর বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধন করে আসছে।
বর্তমানে মতিউর রহমান মল্লিক ওরফে রাজাকার মতিউর এর ছেলে জাহিদ মল্লিক আমাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করিয়া হয়রানি করে আসিতেছে। তাহাদের সাথে গহুর মল্লিক ওরফে রাজাকার গহুর এর মেঝাে ছেলে লতু মল্লিক ও তাহার স্ত্রী এবং মেয়ে মাসুমা আক্তার লিমা সে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় আমাদেরকে মিথ্যা হুমকি সহ বিভিন্ন হয়রানি করিয়া আসিতেছে। বিগত ইং- ২০/০৯/২০২০ তারিখ অজ্ঞাত কিছু মাস্তান দিয়া আমাদের পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ও দীর্ঘ বছর ভােগ দখলীয় সম্পত্তি জোড় পূর্বক ভােগ দখলের পায়তারা করে আসছে।সেই হইতে আমাদের নামে বিভিন্ন দপ্তরে ১১ টি মামলা দিয়ে হয়রানি করিতেছে। তাহার আপন ছােট চাচার ছেলে মােঃ তুলিপ মল্লিককে ও আমাদের একই মামলায় আসামী করিয়া হয়রানি করিতেছে। তাহার পরিবার সহ তাহাকে জমি ,ঘর, বাড়ি হইতে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং আমাদের পাশ্ববর্তি প্রতিবেশী বাবুল হাং এর ক্রয় করার জমি দলিলের থেকে কম থাকায় সরেজমিনে বুঝিয়া চাইলে তার কাছে জাহিদ হােসেন মিলন মল্লিক ১১,০০,০০০/- ( এগারাে লক্ষ) টাকা দাবি করে। বাবুল হাওলাদার প্রবাসে থাকায় জাহিদ মল্লিক তাহাকেও বিভিন্ন ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে।
উল্লেখিত ১৯৭১ সালে কাঠালিয়া বাজারে অবস্থিত হরিমন বাবুর দোকান লুট করে মালামাল নিয়া যায় মতিউর মল্লিক।পরে উক্ত ঔষুধ বরগুনা জেলাধীন বেতাগী উপজেলার পনু মিয়ার দোকানে বিক্র করিতে গেলে উক্ত মতিউর রহমান মল্লিক ওরফে রাজাকার মতিউর কে পুলিশ হাতে নাতে ধরিয়া বরগুনা আদালতে প্রেরন করেন। উক্ত ঔষধ চুরি
করে নিয়ে গিয়াছে প্রমান হলে বরগুনা জেলার বিজ্ঞ আদালত উক্ত আসামীকে কারাবাস প্রদান করে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মতিউর রহমান মল্লিক ওরফে রাজাকার মতিউর ও গহুর মল্লিক ওরফে রাজাকার গহুর মল্লিক কাঠালিয়া থানা এলাকায় বিভিন্নস্থানে , চুরি, ডাকাতি, ধর্ষন , লুট করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধারা উক্ত রাজাকারদ্বয়ের বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারন ক্ষমা করিলে উক্ত আসামী মুক্তি পায়। মতিউর রহমান মল্লিক ওরফে রাজাকার মতিউর এর ছেলে জাহিদ হােসেন মল্লিক ঢাকা বিদ্যুৎ অফিসে চাকুরি করাকালীন সময় জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করিয়া চাকরীচুত্য হয় ।পরবর্তিতে উক্ত জাহিদ হােসেন মল্লিক এলাকায় আসিয়া আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ক্ষতি সাধন করিয়া আসিতেছে।
এমতাবস্থায় আমরা আপনাদের মাধ্যমে এই রাজাকারের ছেলের নির্যাতনের হাত হইতে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিনীতভাবে প্রার্থনা করিতেছি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।