আজ রবিবার ৫ ডিসেম্বর সকালে নগরীর রুপাতলী বাজাসহ বরিশালে বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি। তবে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে দাম বেড়েছে চাউলের এ কারনে ভোগান্তিতে আছে সাধারন ক্রেতারা
সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, বেগুন, মুলা, চিচিঙ্গা, টমেটো, শিমসহ বিভিন্ন ধরেনের সবজি দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে।
ফুলকপি ৩০, বাঁধাকপি ৩০, টমেটো ১৪০, শালগম ৩০, বেগুন ৪০, পটল ৪০, মুলা ২০, বরবটি ৮০, চিচিঙ্গা ৬০, করলা ৮০, শিম ৩০, পেঁপে ২২, শসা ৩০, ধনেপাতা ১২০, কাঁচা মরিচ ৪০-৫০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায়। নতুন আলু ৬০-৭০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, নতুন আলুর সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
তবে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি, আটা-ময়দাসহ অন্যান্য পণ্যের দামে কোনো হেরফের হয়নি।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৬০-৬৫, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫, দেশি আদা ৭০, চীনা আদা ১২০, দেশি রসুন ৬০, চীনা রসুন ১৩০, মোটা দানার মসুর ডাল ৯০, ছোট দানার মসুর ডাল ১১০, প্যাকেট আটা ৪০, ময়দা ৫২ এবং চিনি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ১৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের দাম ১৬০ টাকা।
বাজারে সরু মিনিকেট চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সরু মিনিকেট চাল ৬২-৬৪ টাকা, নাজিরশাইল ৭০, পাইজাম ৪৮ টাকা, ভালো মানের বিআর-২৮ চাল ৫০-৫৪ টাকা, মোটা গুটি ও স্বর্ণা চাল ৪২-৪৪ টাকা ও বালাম ৪৮-৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি আগের মতোই কেজি ১৫০, কক বা লেয়ার ২৪০ ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের হালি ৩৫ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০-৬০০ এবং খাসির মাংস ৭৮০-৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে মাছের দামও প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
পুরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রিপন খান নামে এক ক্রেতা জানান, সব কিছুর দামই বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি উপার্জন। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে রয়েছেন।
নগরীর পুরান বাজারের খুচরা মুদি দোকানি হানিফ স্টোরের মালিক মো. হানিফ হওলাদার বলেন, গত দুই সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে চালের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছেচালের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। আড়তদাররা চালের দাম বাড়ার আশঙ্কার বরছেন।