গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে প্রায় দুই শতাধিক বছরের চলাচলের রাস্তায় পাগাড় খুরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে দুটি প্রভাবশালী পরিবার।
৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখাযায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ৭ নং ইদিলপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চকভগবানপুর গ্রামে একই পরিবারের তিনভাই সহ অপর আরেকজন ব্যাক্তি প্রায় তিন চারশত মানুষের পায়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে পাগাড় খুড়িয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। ঐ এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলে যাওয়ার একমাত্র পথ এটি। স্থানীয় বেশ কজন গ্রামবাসী প্রবীন, মধ্যে বয়ষ্ক, যুবক এবং কিশোরের সাথে কথা বলে যানাযায় এমন ঘটনা এর আগেও কয়েকবার ঘটিয়েছে এই প্রভাবশালী মহল।যার কারনে মাঝেমধ্যেই পোহাতে হয় জনদুর্ভোগ।আরো যানা যায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই খেটেখাওয়া, দিনমজুর এবং রিক্সা- ভ্যান শ্রমিক। শিশু কিশোর,মসজিদের মুসুল্লি, ছাত্র -ছাত্রী সহ ঐ এলাকায় বসবাসরত সকল মানুষের এই দুর্ভোগের জন্য দায়ী শুধু ঐ দুটো পরিবার।
রাস্তার পাশেই জমি হওয়ায় একই গ্রামের মৃত বেলায়েত আলীর সন্তান খাজা আকন্দ, মৃত্যু আঃ রহমানের ৩ সন্তান (১)হাসান আলী, (২), শাহেদ আলী, (৩)এজাহার আলী পেশি শক্তির অপব্যবহার এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকার এই জনসাধারণ কে জিম্মি করে রেখেছেন দীর্ঘদিন থেকেই যার কারনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা বেশ কয়েকবার শালিশের মাধ্যমেও সমাধান করতে পারেনি। ভুক্তভোগী
স্থাননীয় প্রবীন ব্যাক্তি মুনসুর আলী শেখ সাংবাদিকদের জানান,আমার বাপ-দাদার আমল থেকে এই রাস্তাটা ব্যাবহার করে আসছি! তবে রাস্তার এমন অবস্থা থাকলে রাত বিরাতে মসজিদে যেয়ে নামাজ আদায় করা খুবই কষ্টকর হবে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজা মিয়া জানিয়েছেন ঐ এলাকার ঘটনার অভিযোগ বেশ কয়েকবার পাওয়ার পরেও কোনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
পরিশেষে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এ জনদুর্ভোগের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং খাজা গংদের হাত থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহি অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড), অফিসার ইনচার্জ, ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।