৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি| সকাল ৯:৩৬| শীতকাল|
Title :
নাগরপুর পাকুটিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিএনপি নেতা মীর আবুল কালাম আজাদ রতন নাগরপুরে উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় নানা আয়োজনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ইসলামের প্রতিটি বিধান যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ করতে পারি- মীর আবুল কালাম আজাদ রতন নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন, চাই পরিপূর্ণ গণতন্ত্র, সুস্থ রাজনীতি- আতিকুর রহমান আতিক নাগরপুরের শহীদ ক্যাডেট স্কুলে প্রাথমিক শাখায় পাঠ‍্যবই বিতরণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নাগরপুর উপজেলা ছাত্রদলের বিশেষ বার্তা নতুন বছর সকলের জন্য নিয়ে আসুক নতুন সুযোগ, খুলে দিক নতুন সাফল্যের দ্বার – মীর আবুল কালাম আজাদ রতন

কাঠালিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের পাঠদান

বরিশাল ব্যুরো:
  • Update Time : মঙ্গলবার, নভেম্বর ৩০, ২০২১,
  • 108 Time View

বরিশাল ব্যুরো:

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম আওড়াবুনিয়া কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে শ্রেণি কক্ষে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন পরিদর্শন ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া সদর ইউনিয়ন গ্রামে কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকদের কক্ষ এবং শ্রেণি কক্ষ হিসেবে চারটি কক্ষ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে এবং সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে শ্রেণি কক্ষে। কয়েক ধাপে বিদ্যালয়ের ছাদ মেরামত করা হলেও কোন কাজে আসেনি। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার জানান, পুরোনো ভবনের কক্ষে তাদের ক্লাস করতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে। বৃষ্টির সময় শ্রেণি কক্ষের মধ্যেও পানি চলে আসে তাই ক্লাস করা যায় না। এতে লেখা পড়ার ক্ষতি হচ্ছে।

অপর এক শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার জানায়, আমাদের বিদ্যালয়টি খুবই পুরানো হয়ে গেছে। অনেক জায়গা থেকে ফাটল ধরেছে এবং ভেঙ্গে পড়ছে। বাহিরে বৃষ্টি হলেই ক্লাসে পানি আসে।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. রুহুল আমিন খান বলেন, বিদ্যালয়ের এই ভবনটি ১৯৯৫ সালে তৈরি করা হয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া দেওয়াল ও পিলার কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। বর্ষার সময় সব রুমের ছাদ থেকে পানি পড়ে। শিশুদের রুমের বাহিরে বসে ক্লাস নিতে হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই, যা আছে তাও ভাঙা। কোন মতে মেরামত করে শিক্ষার্থীদের বসতে দিতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার বলেন, ভবনটি ২০১৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নতুন ভবন দেওয়ার জন্য সয়েল টেষ্ট করে গেলেও করোনার কারণে এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। আমরা চাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খুব দ্রুত যাতে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) জানান, বিদ্যালয়টি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সয়েল টেষ্ট করা হয়েছে। করোনার কারণে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে সমস্যা হয়েছে। খুব দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category