বরিশাল ব্যুরো:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিশেষ উন্নয়ন সমন্বয় ও আইন শৃংখলা সভায় ঝালকাঠি-১ আসনের সাংসদ বজলুল হক হারুনের কর্মকান্ডের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সভা বর্জন করেছেন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতারা।তাই রবিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের অনুপস্থিতিতে দায়সারা ভাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।তবে সভায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের সভাপতি,
সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকলেও রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরউজ্জামান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু উপস্থিত ছিলেন।
৬ ইউপি চেয়ারম্যানের সভা বর্জনের কথা স্বীকার করে রাজাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন বলেন,এমপি সাহেব নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে তার নিজস্ব লোকদের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ দেন।আমরা কোন কাজের সুপারিশ করলেও তিনি তার ভ্রুক্ষেপ করেনানা বরং তার ছোটভাই কামালের কথাতেই সিদ্ধান্ত নেন।তাই আমরা এমপি সাহেবেরে এই সভা বর্জন করেছি।
শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার বলেন,আমরা ৬ চেয়ারম্যান কেউই সভায় যাইনি। এমপি হিসেবে তিনি আমাদের অভিভাবক হলেও নৌকা মার্কার নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের তিনি কোন খোঁজ খবর নেননা।
স্থানীয় মানুষের কাছে আমরা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের আশ্বাস দিলেও এমপির উন্নয়ন কর্মকান্ডে আমাদের অংশীদার করা হয়না।
এ ব্যাপারে ফোনে এমপি বজলুল হক হারুনকে না পাওয়ায় তার একান্ত সহকারী গোলাম মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের কোন অভিযোগ থাকলে তারা সভায় এসে তা বলতে পারতেন।তিনি বলেন, উন্নয়ন বরাদ্দ জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে সমবন্টন করে দেয়া হয়।
এমপি বজলুল হক হারুনের ভাই মুজিবুল হক কামাল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগ সঠিক নয়।অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরাই আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তাই তাদের মাধ্যমেই উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ,বর্তমানে রাজাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কমিটির পাশাপশি প্রতিটি ইউনিয়নে বজলুল হক হারুন ও তার ভাই মুজিবুল হক কামাল সমর্থিত পাল্টা কমিটি রয়েছে। এমপির ভাই কামাল বরাদ্দের ক্ষেত্রে সেই কমিটির লোকজনকেই অগ্রাধিকার দেন এবং নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানরা থাকেন উপেক্ষিত ও অবহেলিত|