মোঃ মকবুল হোসেন (কুড়িগ্রাম জেলা) প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মাত্র ৮ জন ডাক্তার দিয়ে রাজারহাট উপজেলার দু’লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্হ্য সেবা উন্নয়নের মান অব্যাহত রেখেছেন। উপজেলা স্বাস্হ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়,কুড়িগ্রামের রাজার হাট সদর বাজার থেকে ১ কিঃ মিঃ উত্তরে অবস্থিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স। এ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি রংপুর বিভাগের অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেয়ে আলাদা।গত ১৫/১০/২০ এ ডাঃ আসাদুজ্জামান উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর থেকে চিকিৎসার সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে যুগউপযোগী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অনুমোদিত ডাক্তার থাকা কথা ২৬ জন।এর মধ্যে চিকিৎসা সেবা চলছে মাত্র ৮ জন দিয়ে। এই হাসপাতালটিতে এক্সরে মেশিন দীর্ঘ দিন বিকল থাকলেও পূর্ব কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কোনো গুরুত্ব দেননি। কিন্তু এ কর্মকর্তা যোগদানের পর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এক্সরে মেশিন ও আল্ট্রস্নোগ্রাম,এসিজি,ইউরিন টেস্ট, ডায়াবেটিকস,রক্তপরীক্ষা,গোধ রোধ সহ বিভিন্ন রোগ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করেন। তিনি প্রতি ইউনিয়নের সাব ক্লিনিক ও ওয়ার্ড কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা সেবার নির্দেশ দেন।এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে রোগীর চিকিৎসা সেবা দেন সর্বদা। পুরুষ ওয়ার্ডের রোগী জেহার উদ্দিন (৫৭) এর সাথে কথা হলে জানান,আমি গতকাল এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি চিকিৎসার সেবা ভালই হচ্ছে। মহিলা ওয়ার্ডের রাবেয়া খাতুন জানায়,৮ দিন থাকে ভর্তি আছি শুনেছি এই হাসপাতালে বড় স্যার আসার পর চিকিৎসা, খাওয়া দাওয়া ভালই হয় এবং আমি অনেক সুস্থ্য আছি। স্থানীয় বেশ কিছু লোক দাবি করেন,এই ডাক্তার আসার পর শুধু চিকিৎসা সেবাই না হাসপাতালের মাঠ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন,মনোরম ও বিনোদন প্রিয় গড়ে তুলেছেন।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন,কোভিট ১৯ মহামারী করোনার মাঝে আমি যোগদান করেছি। এর পরেও আমার ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধকে সামনে রেখে জনসাধারণের সেবার মান নিশ্চিত করার লক্ষে স্বল্প জনবল নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে এ হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি ও আউট ডোর সহ ৩”শ থেকে ৩”শ ৫০ রোগী আসে। এছাড়াও বিশেষ করে করোনা মহামারীর প্রতি নজর রেখে এউপজেলায় করোনা প্রতিরোধে ১ম ডোজে টিকাদান কর্মসূচীতে টিকা গ্রহন করেন ৪০৩৬৪ জন এবং ২য় ডোজে ২৯৩৬২ জন। রাজারহাট উপজেলায় ১৮ উর্ধ্ব জনসংখ্যা রয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬”শ ৮৬ জন ও উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫৩ ভাগ লোককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।