কাজী মোস্তফা রুমি: কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তীতে রূপ নেওয়া ছাত্র-জনতার অসহযোগ আন্দোলনে সংগঠিত নির্বিচারে গণহত্যার বিচার, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (PR) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবীতে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির প্রত্যাশা পূরণে ইসলামভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ঐতিহাসিক বিশাল জনসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ ১৪ নভেম্বর’২৪ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নাগরপুর উপজেলা শাখা এই ঐতিহাসিক বিশাল জনসমাবেশের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ের পূর্ব থেকেই নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী সমর্থকরা মোটরবাইক শোভাযাত্রা সহ ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সভাস্থলে এসে উপস্থিত হতে থাকে। একপর্যায়ে নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে তাদের কর্মী সমর্থক সহ উৎসুক জনতা দ্বারা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নাগরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক এর সঞ্চালনায় সমাবেশের প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম তাঁর বক্তব্যে বলেন- ১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবর্জন দেখেছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবার দেশ স্বাধীন করেছে।
দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের শান্তি আসতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত ন্যায়, নীতির পরিবর্তন আসবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আকরাম আলী, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আখিনুর মিয়া, সদস্য হাফেজ মাওলানা রেজাউল করীম ও আলহাজ্ব মাওলানা আলী আকবর নাগরপুরী প্রমূখ।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ ধরনের গণসমাবেশের আয়োজন করছে যা প্রত্যেক সাংগঠনিক অঞ্চলে অব্যাহত থাকবে।