মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডল,স্টাফ রিপোর্টার:
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক রবিকুল ইসলাম (৩২) হত্যার বিচার ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের শিবপুর মঈনুল উলুম নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনের সড়কে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
নিহত রবিকুল ইসলাম শিবপুর গ্রামের মৃত আবদুল মন্নাফের ছেলে। তিনি শিবপুর মঈনুল উলুম নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি ছিলেন।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, নিহতের মা রেজিয়া খাতুন, স্ত্রী সোমা আক্তার, শিবপুর মঈনুল উলুম নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল জলিল, শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন, শাহিন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, মো. শামিম মিয়া, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, রফিকুল ইসলামের হত্যাকারীরা তার পরিবার সহ অন্যান্য লোকদের নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের এগিয়ে আসছে। তাঁর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতা আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রফিকুল হত্যা মামলার বাদী আবদুল সাত্তার বলেন, আমার ভাই এলাকায় একজন পরোপকারী ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি মানুষের বিপদে আপদে এগিয়ে যেতেন। এলাকায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। দুলাল মিয়া তাঁর লোকজন নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাঁর তিনটি ছোট মেয়েকে এতিম করেছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, রবিকুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের দুলাল মিয়া জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটার দিকে রবিকুল তাঁর মামা নুরুল হককে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পূর্বধলায় যাচ্ছিলেন। মেঘশিমুল পশ্চিমপাড়া পাকা রাস্তায় পৌঁছামাত্র আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে লোকজন রবিকুলের উপর হামলা করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাতে ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু দে বলেন, ইতিমধ্যে দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।