কাজী মোস্তফা রুমি: শুরু হলো আগস্ট মাস। বাঙালি জাতির জন্য এ মাস শোকের। বাঙালির জীবনে এ মাস অভিশপ্ত। কারণ, এ মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ মহান নেতাকে হারানোর শূন্যতা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়।
এছাড়া উগ্রবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ২০০৪ সালের একুশে আগস্টে সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে নিস্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল আওয়ামীলীগকে। কিন্তু নেতৃবৃন্দরা মানব ঢাল তৈরি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে বাঁচাতে পারলেও শারীরিকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই হামলায় দেশ হারিয়েছে একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আইভি রহমান এবং অসংখ্য অগণিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
তাই আগস্ট মাসের প্রথম দিনেই ১৫ই আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের নিহত সকল সদস্য এবং একুশে আগস্টের গ্রনেড হামলায় নিহত সকল নেতৃবৃন্দদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেন দক্ষিণ টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরুষ, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষে জনপ্রিয় নেতা, রাজপথ থেকে বিকশিত নেতৃত্ব, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো সাবেক তুখোড় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, ৯৬’র জনতার মঞ্চ আন্দোলনে রাজপথে লড়াকু সাবেক যুবলীগ নেতা, দক্ষিণ টাঙ্গাইলের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলন সংগ্রামের একমাত্র সফল মহানায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহ-সভাপতি জননন্দিত জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
এ বিষয়ে জননেতা তারেক শামস খান হিমু গণমাধ্যমকে বলেন- আগস্ট মাস বাঙালি জাতির একটি শোকাবহ এবং অভিশপ্ত একটি মাস।
১৯৭৫ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় এবং ২০০৪ সালে একুশে আগস্টে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, যদিও তা ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আইভি রহমান সহ অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিলেন।
তাই আগস্ট মাসের প্রথম দিনেই ১৫ই আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের সকল সদস্য এবং একুশে আগস্ট এর গ্রেট হামলায় যে সকল নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
সম্প্রতি ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে (কোটা সংস্কার) সাঈদ সহ অন্যান্য সকল নিহত ছাত্রদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং সাঈদ সহ প্রকৃত সকল ছাত্র হত্যাকারীদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর শাস্তির দাবী জানাই।
পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রোরেল, সেতু ভবন সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংসকারীদের কঠোর বিচার দাবি করছি।