জেলা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান
হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ৪ বছর ধরে ঘুরছেন মোঃ জুয়েল মিয়া নামে এক গ্রাহক। মামলা রয়েছে বলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে হয়রারী করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিয়েছেন জুয়েল মিয়া। তবুও তাকে পাসপোর্ট দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর পাসপোর্টের জন্য হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করেন বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের মোঃ রজব আলীর ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া। একই সালের ৫ নভেম্বর তার পাসপোর্ট সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ৫ নভেম্বর তিনি অফিসে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট আসেনি বলে তাকে জানায়। এরপর কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও তিনি পাসপোর্ট পাননি। এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাকে জানায় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ সময় কর্তৃপক্ষ তার হাতে একটি মামলার কপি তুলে দেন। এতে তিনি মামলার কপিতে তার নাম মোঃ জুয়েল মিয়া, পিতা-মোঃ রজব আলী, মাতা-মোছাঃ রাবিয়া খাতুন, ইউনিয়ন-৩নং সাতকাপন ইউনিয়ন ও গ্রাম-মানিকা পুর লিখা ছিল। অথচ, তিনি উপজেলার জগতপুর গ্রামের মোঃ রজব আলী ও মোছাঃ রাবিয়া খাতুনের ছেলে এবং তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। পরে তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ইউপি মেম্বারের প্রত্যায়নপত্র দিতে বলে। এক পর্যায়ে তিনি স্থানীয় ইউপি মেম্বারের প্রত্যায়ন পত্র জমা দেন। তবুও তাকে পাসপোর্ট দেয়া হয়নি।
এরপর বাহুবল থানা পুলিশের রিপোর্ট জমা দিতে তাকে বলা হয়। যে কারনে তিনি বাধ্য হয়ে থানার এস আই এম.এ ফারুকের মাধ্যমে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেন। এতে মোঃ জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই বলে উল্লেখ করেন ওই পুলিশ সদস্য। এরপরও তাকে পাসপোর্ট দিচ্ছে না হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ৪ বছর ধরে তিনি পাসপোর্ট অফিসে ঘুরছেন। তবুও যেন হৃদয় গলছে না পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি জুয়েল মিয়া বলেন, ‘আমি পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোর আবেদন করেছিলাম। বর্তমানে ৪ বছর ধরে অফিসের লোকজনের কাছে ঘুরছি। তবুও কর্তৃপক্ষ আমাকে পাসপোর্ট দিচ্ছেনা । আমার বিরুদ্ধে মামলার কথা বলে তারা হয়রানী করছে। তাদের কথানুযায়ী আমি পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি। ইউপি মেম্বারের প্রত্যায়ন পত্র জমা দিয়েছি। এতে মন গলছে তাদের। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না’।