আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক টিনের ও ইটের প্রাচীর নির্মাণ।। ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকারের দাবী
পলাশবাড়ীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল করে টিন ও ইটের প্রাচীর তৈরী করায় ভুক্তভোগী আঃ গোফফার মন্ডলের সংবাদ সম্মেলন ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী আঃ গোফফার মন্ডল বলেন,
উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের হাসনের পাড়া মৌজার পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়ক ঘেষে একটি জমি ২০০৬ সালের ৬ এপ্রিল ২০ শতক, যাহার দলিল নং ১৫৬৩ এবং একই সালের ২৪ আগষ্ট ৩৪ শতক জমি গোলাম মোহাম্মদের স্ত্রী নূরজাহান বেগমের নিকট থেকে ক্রয় করি ,যাহার দলিল নং ৩৮৬২ ও ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আমার ছেলে আবু তোফায়েল জিল্লুর রহমান ১৮ শতক জমি ছাইদুর রহমান গং এর নিকট ক্রয় করি , যাহার দলিল নং ৬৪৮২ । এ জমিটি ক্রয়ের পর থেকে ভোগদখল করে আসছি।
গত ১৪ নভেম্বর মৃত হাবিজার রহমানের ছেলে ফারুক গংরা উক্ত জমি তাদের দাবি করে জোরপূর্বক পেশিশক্তির জোরে জমিটি রাতারাতি দখল করে সিমানা প্রাচীর তৈরি ও বাড়ীঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করছে।
আমি এব্যাপারে আদালতে লিখিত আবেদন করি। আদালত তা আমলে নিয়ে ১৭ নভেম্বর শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১৪৪ ধারা আইন জারি করে পলাশবাড়ী থানাকে নির্দেশ দেয় উক্ত জমিতে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে। কিন্তু আদালতের এমন তিনটি নির্দেশনা অমান্য করে ফারুক গংরা উক্ত জমিতে টিনের প্রাচীর ও ইটের প্রাচীর বাড়ীঘর, অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু থানা পুলিশ এব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
এব্যাপারে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,আদালতের আদেশনামা পেয়েছি। ফারুক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগী আঃ গোফফার বলেন, ফারুক কোন কাজ বন্ধ করেননি। থানা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান।