নোয়াখালীর চাটখিলের নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এখানে ১০ শিক্ষকের বিপরীতে সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র চারজন শিক্ষক।
অভিভাবকরা জানান, চার শিক্ষকের পক্ষে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। তাই খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে কোনো রকমে চলছে পাঠদান। এতে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ১৯৬৯ সালে চাটখিল উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৮৩ সালে উপজেলার একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে এটি জাতীয়করণ হয়। এরপর থেকে শিক্ষক সংকট লেগেই রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ১০ পদের মধ্যে গণিতে দুজন, ব্যবসায় শিক্ষায় একজন ও বাংলায় একজন শিক্ষক রয়েছেন। বাকি ছয়টি পদ শূন্য রয়েছে।
শূন্য থাকা পদের মধ্যে, ইংরেজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও রয়েছে। এ কারণে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে নেওয়া হচ্ছে ক্লাস। তবে অতিথি শিক্ষকের ক্লাসে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।
আবুল কালাম নামে এক অভিভাবক বলেন, সরকারি বিদ্যালয় হওয়ায় সন্তানকে ভর্তি করেছি। কিন্তু বিদ্যালয়ে শিক্ষক নেই বললেই চলে। অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। অথচ তারা দক্ষ ও অভিজ্ঞ নন। বিশেষ করে ইংরেজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় মেয়েরা ইংরেজিতে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. এমরান হোসেন বলেন, শিক্ষক না থাকায় ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছি। শিক্ষক সংকটের কথা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনার কারণে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ ছিল। শিগগিরই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে। তখন সব শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান: মোঃ শফিউল ইসলাম শফিক; সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মোস্তফা রুমি, এলএল.বি(অনার্স), এলএল.এম, 01715672097; জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।)
কপিরাইট © ২০২২ swadeshkonthoprotidin এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।