লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বাসচাপায় আহত সিএনজিচালক আবদুল গফুরের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মারা যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতরা বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারী। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে একটি বাস রামগতির দিকে যাচ্ছিল। তোরাবগঞ্জ বাজারে পৌঁছলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দুটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এসময় সড়কের পাশে থাকা একটি প্রাইভেটকার ও সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে সিএনজিতে বসে থাকা চালক গফুরসহ ২০ জন আহত হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গফুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আবদুল হাইর ছেলে। তার সংসারে স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে স্ত্রী-সন্তানরা অসহায় হয়ে পড়েছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যায় আমি গফুরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। পরে বিভিন্নজন থেকে মৃত্যুর খবর শুনেছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবো।