ইতি আক্তার,মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী হাতি। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় ভয়ে সেখান দিয়ে যেতে পারছে না শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহন। পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছেন মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক গাড়ী থেকে আরেক গাড়ী আটক করে যাচ্ছে হাতিটি। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে গাড়ীর ড্রাইভার এর কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে । এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে দিনে দুপুরে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মদন- ফতেপুর বাগজান – পরশখিলা গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে।
বুধবার (৩১শে মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আনুমানিক সকাল ১০:৩০ মিনিটে ব্যাটারি চালিত অটো,মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহনকে একটি হাতি দিয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ১০ থেকে ৫০ টাকার চাঁদা নিচ্ছেন একটি ছেলে। এতে কেউবা টাকা দিচ্ছেন মনের খুশিতে আবার কেউ দিচ্ছেন হাতির ভয়ে। টাকা না দিলে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখা হয় গাড়িগুলোকে।
প্রত্যেকদর্শী কয়েক জনের সাথে কথা বললে জানা যায়,সকাল ১০ টা থেকে এখানে রাস্তা দিয়ে যাতায়েতকারী সকল গাড়ি থেকে এই হাতি দিয়ে ১০ থেকে ৫০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন এই হাতি ওয়ালা । কেউ টাকা না দিতে চাইলে গাড়ি গুলোকে আটকে রাখা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
এ সময় সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক মোতাহার আলম চৌধুরীসহ দুইজনগণমাধ্যম কর্মীর গাড়িও আটকে রাখা হয় কয়েক মিনিট চাঁদার জন্য । তারপর সাংবাদিক পরিচয় জানার পরে তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মোতাহার আলম চৌধুরী বলেন, এটা একটি ঘৃণিত কাজ। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করছি এটা খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
রাস্তায় এভাবে চাঁদার তুলার কোন অনুমতি আছে কিনা ঐ হাতি ওয়ালা কাছে জানতে চাইলে, সে তার মুখে গামছা দিয়ে বেধে মুখ লুকানোর চেষ্টা করে। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদের কোন প্রশ্নের জবাব দেয়নি সে।
মদন থানার ওসির তাওহিদুর রহমান এর সাথে মোটো ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন গত কাল মদন সদরের পাশে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আমি বিষয়টি দেখছি এখনি।