বাঙালির বার মাসে তের পার্বণ
এ যেন সত্যি হৃদয়ের বন্ধন।
ঋতুবৈচিত্রে্্য হেমন্ত আসে কাশফুল নিয়ে শীতের আগেই,
অগ্রাহণে নবান্ন নিয়ে আসে খুশিরবাতা্ নতুন ধান ঘরে উঠানোর কাজে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা।
অগ্রাহণে পাকে আমন
তাতেই কৃষকের মুখে হাসির রেখা, ঘরে,গোলাভরে উঠে নব অন্ন এইতো নবান্ন।
নবান্নের উৎসবে মেতে উঠে কৃষকের পরিবার নতুন ধানের,
পিঠেপুলি, ক্ষীরকদলি।
নতুন অন্ন উৎসব করা হয় পিতৃপুরুষ, দেবতা,কাক ইত্যাদি।
কাকের মাধ্যমে পৌঁছে ঐ খাদ্য মৃতের আত্নার কাছে এটাই লোকবিশ্বাস।
সনাতন শাস্ত্রমতে, হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী পিতৃপুরুষ প্রাথনা করেন নব ধানের অন্ন উৎপাদন করা হয় যখন।
অসাম্প্রদায়িকতার বহিঃপ্রকাশ, সাম্প্রদায়িকতার উদ্ধে উৎসবে মেতে উঠে বাঙালি কৃষকের ঘর বাংলাদেশের বগুড়া আদমদিঘী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের, মুশিদী,বীর, বধ্ স্থানে, উউৎসবমুখর পরিবেশে ৬
উদযাপিত হয় নবান্ন উৎসব।
বাংলার রাজধানী,ঢাকা,ধানমন্ডী,রবীন্দ্র সরোবর উৎসব মুখরিত হয় পিঠের মেলা ত্রিশটি স্টলে দুইশ রকম পিঠা।
নবান্ন হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ
হেমন্ত এলেই দিগন্তজুড়ে ফসলের মাঠ ছেয়ে যায় হলদে বরণে, এই শোভা দেখে কৃষকের প্রাণ করে আনচান।
ঢাকাইয়া আমেজে জারি,সারি,মুর্শিদি, লালন গাও খাও কর নতুন অন্ন আপ্যায়ন।