ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি পূর্বপাড়া গ্রামের দরীদ্র আজিজুল ইসলামের বসতঘর গত ৫ নভেম্বর রাতে পুড়ে যায়। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা তার ছোট মেয়ে সামিয়া আক্তার (৩) পুড়ে গুরুতর আহত হয়। পরদিন চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে বললে পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরিয়ে এনে কবিরাজি চিকিৎসা করাচ্ছেন। টাকার অভাবে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ফেসবুক প্রচারে অনেকেই সহায়তায় এগিয়ে আসেন। পরে পরিবারের লোকজন রোগীকে নিয়ে ঢাকায় যেতে রাজি না হওয়ায় সহায়তায় এগিয়ে আসা লোকজনের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ফুলপুরের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার ও এসিল্যান্ড ফারজানা আক্তার (ববি) মঙ্গলবার বিকেলে রোগীর বাড়িতে যান। তাদের ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি সুচিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসেন। চিকিৎসা সহায়তা দিতে আগ্রহী জাপান প্রবাসী এক বোনের অনুরোধেনিয়ে রোগীর বাড়িতে যাই। । দীর্ঘ সময় অবস্থান করে বুঝানোর পরও রোগীকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে রাজি করাতে পারিনি। রোগীর পরিবারের অভিযোগ ময়মনসিংহে চিকিৎসা পায়নি। ঢাকায় গেলেও এমনই হবে। তাই কবিরাজি চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আজিজুল ইসলামের ২ স্ত্রীর সংসারে ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। সে পেশায় একজন পিকআপ গাড়ী চালক।