কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে স্বামীর নির্যাতনে ফারজানা আক্তার মিতু নামে এক গৃহবধূর জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই গৃহবধূ এখন আতংকে দিন পার করছেন। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করলেও তাকে তাঁর স্বামীর লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুই সন্তানের জননী মিতু উপজেলা সদরের ঝলম গ্রামের নুরুল হক মোল্লার মেয়ে। তাঁর স্বামী অভিযুক্ত কামাল হোসেন পাশের পোমগাঁও গ্রামের হারছ আহম্মেদের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে ওই গৃহবধূর বড় ভাই নুর মোহাম্মদ মোল্লা বলেন, ২০১২ সালে কামাল হোসেনের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তিনি যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে আমার বোনের উপর অত্যাচার ও মারধর করে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর কামাল তিন লাখ টাকা আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে দেওয়ার জন্য সে আমার বোনকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে সে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমার বোনের মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এরপর কামাল, তার মা নুরজাহান, বাবা হারছ আহম্মদ, ভাই বাহার, রাজন ও বোন বিউটি আমার অসহায় বোনটির উপর নির্মম নির্যাচন চালায় টাকার জন্য।
তারা চেয়েছিলো আমার বোনকে প্রাণে মেরে ফেলতে। তাদের ভয়ে আমার বোন এখন আতংকে দিন পার করছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর আমরা থানায় গেলে পুলিশ বলে কোর্টে মামলা করতে। স্থানীয়ভাবে কোথাও বিচার না পেয়ে গত ১৭ অক্টোবর আদালতে কামালসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আমার বোন।
আদালত ঘটনাটি থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলা করার পর থেকে কামালের লোকেরা আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।
এছাড়া বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য।
আমরা খুব ভয়ে দিন কাটাচ্ছি আমারা আসামিদের কঠোর শাস্তি চাই।
এদিকে, এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার চেষ্টা অভিযুক্ত কামাল হোসেনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার মোবাইলফোনও বন্ধ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুল কবির বলেন, ওই গৃহবধূকে মারপিটের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আমরা মামলাটির তদন্ত করছি।
আশা করছি আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।