২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| সকাল ৯:১৪| হেমন্তকাল|

সাঘাটায় নৌকা বাইচের দ্বিতীয় দিনে লাখো মানুষের ভিড়

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি মোঃ আল-আমিন
  • Update Time : রবিবার, অক্টোবর ৩, ২০২১,
  • 97 Time View

আবহমান বাঙলার ঐতিহ্য ও শতবর্ষের প্রাচীন সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকা বাইচ। নদীমাতৃক এ দেশের গ্রামীণ লোক সাংস্কৃতির সেই ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও বিল-হাওড়ে আয়োজন করা হয় নৌকা বাইচের। এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামে দিগন্ত বিস্তৃত জলভরা দৃষ্টিনন্দন যমুনা নদীতে উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচের দ্বিতীয় রাউন্ড। থৈথৈ জলে, ঢাক-ঢোলের তালে তালে গ্রাম বাংলার গান আর যমুনার জলে মাঝি-মাল্লার বৈঠার ছন্দ মাতিয়ে তোলে নদী পাড়ের মানুষকে। নৌকা বাইচ দেখতে যমুনার পাড়ে নামে লাখো দর্শনার্থীর ঢল। প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণীল এ নৌকা বাইচের আয়োজন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মো. ইয়াকুব আলী প্রধান। গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং, ছালেক সোলার পাওয়ার লিমিটেড ও সোলার জোন বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগীতায় এই নৌকা বাইচের নবম তম আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিলো দৈনিক আাজকের জনগণ ও প্রান্তিক টিভি। জেলার অন্যতম বিনোদনমূলক এ প্রতিযোগিতায় ঘুড়িদহ ইউনিয়ন ছাড়াও আশেপাশের বেশক’টি ইউনিয়ন ও গাইবান্ধার অন্য ছয়টি উপজেলা থেকেও অনেক দর্শক এ বাইচ দেখতে আসেন। নৌকা বাইচ চলাকালে যমুনা নদীর পাড়ে লাখো মানুষ এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ উপভোগ করেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। প্রতিযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, পাবনা ও টাঙ্গাইলে কয়েকটি উপজেলা থেকে নানা বাহারী নাম ও রঙের ২০টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। নানা রঙ্গের নৌকা ছাড়াও প্রতিযোগীদের সাজ-পোশাক, বাদ্য-বাজনা নৌকা বাইচের প্রধান আকর্ষণ ছিল। গতকাল বুধবার এই বাইচের উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা।

নৌকা বাইচ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে বাইচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির, সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান, গাইবান্ধা জেলা পরিষদ সদস্য সাখাওয়াাত হোসেন, সোলার জোন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, সাংবাদিক আবু তাহের, জয়নাল আবেদীন, জাকির হোসেন প্রমুখ।

শেষে অতিথিবৃন্দ প্রথম বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে একটি মটরসাইকেল, দ্বিতীয় বিজয়ীকে একটি ফ্রিজ এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বিজয়ীকে একটি করে এলইডি কালার টিভি প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category