ভোলাহাটে সন্ত্রাসী হামলার শিকার ভোলাহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন ও তার পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিযোগ করে।
মোশারফ জানান মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায়,গত (৩১ অক্টোবর) রাত প্রায় ১ টার সময় তার বাড়ির সদর দরজা ভেঙ্গে প্রায় ২২/২৩ জনের মাদক করবারীদের মধ্যে ১৩/১৪ জন কালো পোশাকে মুখোশধারী বাহিনী তার বাড়িতে আক্রমণ করে, ৯/১০ জন তাহার পরিচিত মাদক করবারী বাহিনী তাৎক্ষণিক তাকে জাপটে ধরে ঘর থেকে বাহির করার চেষ্টা করলে তার স্ত্রী ও কন্যা আকুতি-মিনতি করলে মাদক কারবারী দলের কয়েকজন তাদের (স্ত্রী ও কন্যা) কে শারীরিক ভাবে আঘাত করে এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে-১।মোঃআব্দুল মতিন (৫০),পিতা-মৃত হাকিমুদ্দিন ২।মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ভুটু (৪৬)’পিতা- মৃত নিজামুদ্দিন, সর্ব সাং-চরধরমপুর,থানা-ভোলাহাট,জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ।এরা দু’জনে মোশরফের স্ত্রী মোসাঃ জলেনুর বেগমের মাথায় পিস্তল ধরে ভয়ভীতি দেখায় এবং কর্কশ ভাষায় আলমারির চাবি চায়।
এমতাবস্তায় হামলাকারীদের মধ্যে -৩।মোঃ আব্দুস সবুর ওরফে রায়তুল (৫৫) পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী (একই উপজেলার) মোশারফের স্ত্রীর কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে আলমারির তালা খুলে আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার বাহির করে নিয়ে যায়।
ডাকাতদলের লাঠি ও রডের আঘাতে তার মেয়ে মুশফিকা ঘরের মেঝেতে পরে থাকার পরও বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করার চেষ্টা করলে হামলাকারী -৪।আব্দুর রশিদ (৪৮),পিতা মৃত আব্দুল মাজেদ ও ৫। মোঃ নুর হোসেন (৩০),পিতা-মোঃনজরুল ইসলাম (এরাও একই উপজেলার) তার মেয়ের গলায় হাসুয়া ধরে বলে,চিৎকার করলে জবাই করে দিবো বলে ভয়ভীতি দেখায়।
৬।মোঃ আমিনুল হক (৫০) পিতা-মোঃ শাহজাহান আলী, ৭। মোঃ নজরুল ইসলাম (৬৫) পিতা মৃত পোড়া শেখ, ৮।মোঃ কসিমুদ্দিন (৬৫),পিতা-মৃত হাকিমুদ্দিন এরা তার মেয়ে মুশফিকার মাথায় রডের আঘাত করে। ৯। মোঃ নূর নবী (৩২),পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম মোশরফের জামার পকেটে থাকা নগদ ২০,০০০ টাকা নেয়। ১০। মোঃ এজাজুল চৌকিদার (৩৫) পিতা-মৃত নাসিম
এরপর হামলাকারীরা ১০,০০,০০০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
হামলা কারিদের কাছে মোশারফ তার অপরাধ ও টাকা নেওয়ার কথা জানতে চাইলে একপর্যায়ে তার মুখ ও চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেধে বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বেধে নিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ও কন্যার আহজারি শুনে অনেক পাড়া প্রতিবেশী আসলেও অপহরনকারী ও মাদক কারবারীদের অস্ত্রের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
পরে তাকে তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের আম বাগানে নিয়ে গিয়ে তারা মুক্তি পণের টাকা চাইলে আমি দিতে অস্বীকার করলে হামলাকারীরা তাকে রড দিয়ে বেধড়ক মারে
একপর্যায়ে ভুটু মেম্বার রডের বাড়ি মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে যায় মোশারফের।
পরে স্থানীয় লোকজন ও তার স্ত্রী তাকে উদ্ধার করে ওই রাতেই ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়,
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাঃ মোঃ হাসান আলী তার অবস্থা বেগতিক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে রাজশাহীতে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে বর্তমানে সে নিয়মিত ওষুধ সেবন করছে।
ঘটনাটির ব্যাপারে অভিযুক্ত ভোলাহাট ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ভুটু জানান,মোশারফকে কে বা কাহারা মেরেছে বলতে পারবেন না এবং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সত্য নয়।
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।