৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| বিকাল ৫:৫২| শরৎকাল|
Title :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ৩৭৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এক জন আটক গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানা পুলিশের হাতে ৯ জন আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার পূর্বধলায় শ্রেষ্ঠ ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স সদ্য যোগদানকৃত নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, নাগরপুর উপজেলা শাখার শুভেচ্ছা নারী সাংবাদিক নিহত: প্রধান অভিযুক্ত গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার পূর্বধলায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ ও বিকাশের যৌথ উদ্দ্যোগে মোবাইল ও বিকাশ প্রতারণা বিষয়ে তদন্ত ও প্রতিরোধ পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ ফকির বাড়ির পারিবারিক কবর থেকে ৪ টি লাশ চুরি গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ৬৫ বছরের দাদা পুতির সাথে প্রথম শ্রেনীতে ভর্তির ঘটনাটি পড়ালেখার জন্য নয়

শৈলকুপায় ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে করোনা টিকার সিরিঞ্জ-ভায়েল

স্বদেশ কণ্ঠ প্রতিদিন,খুলনা বিভাগীয় প্রধান
  • Update Time : মঙ্গলবার, নভেম্বর ২, ২০২১,
  • 69 Time View

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় বিভিন্ন ভাংড়ির দোকানে মিলছে করোনা ভাইরাসের টিকার ব্যবহৃত সিরিঞ্জ-ভায়েল! কার্টুন কার্টুন সিরিঞ্জ আর ভায়েল এখন ভাঙরির দোকানে দোকানে ঘুরছে। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা করোনা ভাইরাসের যে টিকা দেয়া হয়েছে সেসব সিরিঞ্জ আর ভায়েল সহ অন্যান্য টিকার বস্তা বস্তা ভায়েল পুড়িয়ে না ফেলে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে ভাঙরির দোকানগুলোতে। দোকানীরা জানান, হাসপাতালের কর্মচারীরা এসে তাদের দোকানে এসব বিক্রি করে যাচ্ছে। শৈলকুপার কবিরপুরে কবি গোলাম মোস্তফা সড়কে মা ক্রোকারিজ স্টোরে দেখা গেছে ৫ কার্টুনের বেশী করোনা ভাইরাসের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ। আরো রয়েছে বিভিন্ন প্রকার টিকার বস্তা বস্তা ভায়েল। এই দোকানটিতে রবিবার দুপুরে হাসপাতালের কর্মচারীরা এসে কার্টুন আর বস্তা ভর্তি সিরিঞ্জ-ভায়েল বিক্রি করেছে। ৪০ টাকা কেজি দরে এসব তারা কিনেছে। ভাঙড়ি দোকানদার আব্দুল মান্নান জানান, তারা ভাংড়ি হিসাবে কিনেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান বিজন কুমারের দায়িত্ব করোনা ভাইরাসের এসব টিকার সামগ্রী দেখভালের দায়িত্ব। রোগীদের টিকা দেয়ার পর এই টেকনিশিয়ান এসব স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ সামগ্রী পুড়িয়ে না ফেলে পাবলিকের হাতে, ভাঙড়ি দোকানে বিক্রি করে দেন। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসাবে দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, সরকার এসব ব্যবহৃত সামগ্রী ধ্বংস বা পুড়িয়ে ফেলার জন্য তেল পর্যন্ত সরবরাহ করে থাকে অথচ সমস্ত নিয়ম আর বিধি ভঙ্গ করে তিনি এসব বিক্রি করে দিচ্ছেন গোপনে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে যেসব করোনা টিকার সামগ্রী দেয়া হয়, সেসবের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ আর ভায়েলও অরক্ষিত বা বিক্রি করে দেয়া হয়েছে পাবলিকের কাছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান বিজন কুমার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কার্টুন সহ সিরিঞ্জ বাহিরে যাওয়া বা বিক্রির কোন নিয়ম নেই। তার অধীনে থাকা সিরিঞ্জ-ভায়েল পুড়িয়ে ফেলেছেন। তবে কিভাবে এসব বিক্রি হচ্ছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করছেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার কনক রহমান জানান, বিষয়টির ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। এসব সরঞ্জাম কোন অবস্থাতেই পাবলিকের হাতে বা বাহিরে বিক্রির কথা নয়। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন বলেন, ইপিআই টেকনিশিয়ান বিজনের সাথে কথা হয়েছে এবং যেটি জানতে পেরেছি ইউনিয়নে কর্মরত তিন টেকনিশিয়ান এগুলো জমা দেয়নি। হয়ত সেখান থেকে এসব কিছু ঘটনা ঘটতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category