নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় ২য় ধাপের ইউপি নির্বাচনে কোন অবস্থাতেই থামছে না নির্বাচনী সংঘর্ষের ঘটনা । নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটছে। রায়পুর, সিংধা ও বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের পর এবার সাহতা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দোকানপাটেও ভাংচুর করা হয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান সাহতা বাজারে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস রয়েছে। শনিবার সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ ট্রলার ও অন্যান যানবাহনে করে বিশ ত্রিশ জন এসে নৌকার অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তখন অফিসে যারা ছিল তাদের চিৎকারে আমরা দৌঁড়ে গেলে হামলাকারীরা ট্রলার ও অন্যান যানবাহনে করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বতর্মান চেয়ারম্যান পল্টন চন্দ্র সরকার বলেন, আমার নির্বাচনী অফিসে বসে আমার সমর্থকরা আলোচনা করছিল। আমি তখন ঐ এলাকায় ছিলাম না। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টায় আমার অপেক্ষায় বসা ছিল তারা। এমন সময় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চঞ্চলের লোকজন এসে অফিসে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তখন তারা সাত্তার (৪০) নামে আমার এক কর্মীকে মারধর করেছে। আমার আরেক কর্মীকে তারা তুলে নিয়ে গেছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী পল্টন চন্দ্র সরকার আরোও বলেন, `আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন এই হামলা করেছে। আমার নির্বাচনী অফিসে হামলার কিছুক্ষণ পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়ার সমর্থকরা হাতে লাঠি-সোঁটা নিয়ে আবার মিছিল করে। আমার এক কর্মীর উপর পূণরায় তখন আবার হামলা করে।আমি বিষয়টি বারহাট্টা থানায় জানিয়েছি। এ বিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগও আমি থানায় দিয়েছি। আশা করছি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই বিষয়ে জানার জন্য নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান চঞ্চলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নৌকার অফিসে হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি জানান নৌকার সমর্থকরা সন্ধ্যায় আমার সাহতা বাজরের অফিসে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার সময় আমার দুইজন কর্মী বাধা দিলে একজনের হাতে ও আরেকজনের মাথায় আঘাত পায়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বারহাট্টা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। নৌকার প্রার্থীর একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এখন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।